নওরোজ: বিশ্ববাসীর প্রতি ইরানের বন্ধুত্ব ও সংহতির বার্তাবাহী
পোস্ট হয়েছে: মার্চ ২০, ২০১৯

ইরানে ইউনেস্কোর ন্যাশনাল কমিশনের মহাসচিব হুজ্জাতুল্লাহ আইউবি বলেছেন, নওরোজ হচ্ছে ইরানসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতীক। নওরোজকে তিনি বিশ্ববাসীর প্রতি ইরানের বন্ধুত্ব ও সংহতির বার্তাবাহী বলেও মন্তব্য করেন।

বার্তা সংস্থা ইরনার সঙ্গে আলাপকালে ইউনেস্কোর এই কর্মকর্তা আরও বলেন,নওরোজ সংস্কৃতি সমৃদ্ধ এলাকার মানুষের মন-মানসিকতা শান্তিকামী।ইউরোপ এক শ, দেড়শ’ বছর যুদ্ধে লিপ্ত ছিল এমনকি প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও দেখেছে। কিন্তু ইরানসহ নওরোজ সংস্কৃতির ঐতিহ্যপুষ্ট এ অঞ্চলের দেশগুলো যুদ্ধবাজ নয়,যুদ্ধ তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নওরোজ উৎসবের শেকড় ইরানে প্রোথিত হলেও বিশ্বের অন্তত ১২টি দেশে জাতীয়ভাবে এই উৎসবটি পালন করা হয়। ইরান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, আজারবাইজান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান,কাজাকিস্তান, কিরঘিজিস্তান এবং আলবেনিয়ার ক্যালেন্ডারে নওরোজ নামেই এই উৎসব উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে ২১ মার্চকে ‘বিশ্ব নওরোজ দিবস” হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্বের ১১টি দেশের ত্রিশ কোটির বেশি মানুষ ইরানি এই প্রাচীন উৎসবটিকে যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করে আসছে। পার্সটুডে।