ইরানে বছরে মধু উৎপাদন হয় ৮১ হাজার ৫০০ টন
পোস্ট হয়েছে: মে ১০, ২০১৭
ইরানের তেহরান প্রদেশে মৌমাছি খামার মালিকদের মাঝে রাণী মৌমাছি বিতরণ করেছে প্রদেশের অ্যাগ্রিকালচারাল জিহাদ অগানাইজেশন । এ কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির উপ প্রধান আব্বাস আকবারি।
তিনি জানান, প্রতি বছর শুধু তেহরান প্রদেশে প্রায় ৯৭০ টন মধু উৎপাদন হয়।
অন্যদিকে, দেশটির উপ কৃষিমন্ত্রী হাসান রোকনির তথ্যমতে, গত ফার্সি অর্থবছরে (২০ মার্চ বছর শেষ হয়েছে) ইরান জুড়ে ৮১ হাজার ৫০০ টন মধু উৎপাদন হয়েছে। তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে বর্তমান অর্থবছরে উৎপাদনের পরিমাণ সাড়ে পাঁচ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ৮৬ হাজার টনে।
তিনি বলেন, গত বছরে দেশজুড়ে রয়েল জেলি উৎপাদন হয়েছে ৯৯৩ কেজি। যেখানে প্রতি কেজি রয়েল জেলির মূল্য ৫০ মিলিয়ন রিয়েল (প্রায় ১৩৩০ মার্কিন ডলার)।
রোকনি আরও উল্লেখ করেন, ইরানে মাথাপিছু মধু ভোগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কেজি। যেখানে বৈশ্বিকভাবে গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম মধু ভোগ করা হয়। ইরানের মৌচাষ শিল্পে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ সক্রিয় রয়েছে।
উল্লেখ্য, রয়েল জেলি হলো দুধের ন্যায় সাদা বস্তু, যা উৎপন্ন হয় কর্মী মৌমাছির মাথা’র মগজ থেকে। রয়েল জেলি নিষিক্ত ডিম হতে উৎপন্ন কর্মী মৌমাছিদের খাওয়ানো হয় ৩ দিন পর্যন্ত। এরপর তাদের স্বাভাবিক খাবার (মধু, রেনু ইত্যাদি) খাওয়ানো হয়। আর মৌচাকের রাণী মৌমাছি’কে সারা জীবন এই রয়েল জেলি খাওয়ানো হয়। যার ফলে পুরো মৌচাকে রাণীই একমাত্র প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে।
এই রয়েল জেলি শুধু যে মৌমাছির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা নয়, মানব জীবনে অন্যান্য প্রাণীর জীবনেও মৌমাছির রয়েল জেলির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে; আছে বেশ কিছু যুগান্তকারী সম্ভাবনা। যেমন, বন্ধাত্ব্য মোচনে রয়েল জেলিকে কাজে লাগানোর জন্য গবেষণা চলছে। এছাড়া মানুষের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধেও রয়েল জেলি ব্যবহার করা যায় কিনা সে ব্যাপারে গবেষণা চলছে। এছাড়া রয়েল জেলি ক্যান্সার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী।
সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল ট্রিবিউন।