রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ঢাকায় ‘ঐক্য, শান্তি ও সংলাপের অগ্রদূত ইমাম খোমেইনি’ শীর্ষক সেমিনার

পোস্ট হয়েছে: জুন ৫, ২০১৭ 

news-image

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম খোমেইনি (রহ.)-এর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায়   ‘ইমাম খোমেইনি (র.) : ঐক্য, শান্তি ও সংলাপের অগ্রদূত’ শীর্ষক‘ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২ জুন বিকেল ৪ টায় ঢাকার বি এম এ মিলনায়তনে ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজী দেহনাভী ও ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সাইন্সেস (ইউআইটিএস) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মেদ সোলায়মান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ  উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। আলোচনা রাখেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক ড. মুহাম্মাদ ঈসা শাহেদী।

সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এইচ টি ইমাম বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মোকাবিলায় ইমাম খোমেইনির বিপ্লবের ধরন সকলকে চমকে দেয়। তিনি তরুণসমাজকে এমন অভিনবভাবে পরিচালিত করেন যা সারা বিশ্বের মানুষকে অভিভূত করে। তিনি ছিলেন জনমানুষের নেতা। তাঁর বিপ্লব আমাদেরকে প্রেরণা দিয়ে চলেছে।

অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সাইন্সেস (ইউআইটিএস) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ইমাম খোমেইনি ছিলেন, বিশ্ব ইতিহাসের একজন সফল নায়ক। তিনি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মোকাবেলায় দাঁড়িয়ে ইরানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। তিনি তৃতীয় বিশ্বের মানুষকে বিপ্লবী চেতনায় অনুপ্রাণিত করেছেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজী দেহনাভী বলেন, ইমাম খোমেইনি ছিলেন শান্তিপূর্ণ গণবিপ্লবের প্রবক্তা। তিনি ইরানের তরুণসমাজকে নিরস্ত্র বিপ্লব উদ্বুদ্ধ করেন এবং এই বিপ্লবের বিজয় ছিনিয়ে আনেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সৈয়দ মুসা হুসাইনি বলেন, ইসলামি উম্মাহর মধ্যে ঐক্যের দাওয়াত ও এর অপরিহার্যতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক যে ব্যাপারে ইমাম খোমেইনি সবসময় তাঁর বক্তব্য ও দিকনির্দেশনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতেন। কারণ, ইমাম খোমেইনি রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইসলামি উম্মাহর মধ্যকার বিভেদের নেতিবাচক ফলাফল সম্পর্কে খুব ভালভাবেই অবহিত ছিলেন। ইমাম খোমেইনি জানতেন, ইসলামি উম্মাহর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ইসামের শত্রু ও বিজাতীয়রা মুসলমানদেরকে অপদস্থ করবে এবং তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। তাই তিনি সকল প্রকার বিভেদ ভুলে ইসলাম ধর্মের উপর ভিত্তি করে ঐক্য ও সহমর্মিতা প্রতিষ্ঠা করাই এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় বলে মনে করতেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিনএর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক ড. মুহাম্মাদ ঈসা শাহেদী।