ঢাকায় আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে ইরানের ৪টি ছায়াছবি
পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ২৯, ২০১৮

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ‘১১তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব’ চলছে। এ উৎসবে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানসহ বিশ্বের ৫৮টি দেশের শিশুদের জমা দেয়া ১০০০টি চলচ্চিত্র থেকে প্রদর্শিত হবে প্রায় ২২০টি। ২৮ জানুয়ারি শুরু হওয়া উৎসব চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগান নিয়ে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে শুরু হওয়া উৎসব উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফা মনোয়ার।
এবারের উৎসবের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে মারিয়া নভারো পরিচালিত মেক্সিকান চলচ্চিত্র ‘টেসোরস’ দেখানো হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি প্রদর্শিত হয় ১৯টি চলচ্চিত্র। এরমধ্যে ছিল ইরানি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ইটস রেইনস স্লোলি’।
আজ দেখানো হবে ইরানি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘স্কুল মাস্টার’। ৩০, ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শিত হবে ইরানি চলচ্চিত্র ‘দ্য চকোলেট’। উৎসবের শেষ দিন দেখানো হবে ইরানি চলচ্চিত্র ‘গ্লাসেস’।
এবার উৎসবে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত ২১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্য ৫টি চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবে। পুরস্কার হিসেবে থাকছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও আর্থিক প্রণোদনা। এ বছরও ‘ইয়ং বাংলাদেশি ফিল্ম মেকার সেকশন’ শীর্ষক বিভাগটি রয়েছে, যেখানে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ নির্মাতারা অংশ নিয়েছেন। উৎসবের মূল ভেন্যু হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তন। এছাড়াও ব্রিটিশ কাউন্সিল, গ্যাটে ইনস্টিটিউট, অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ড্যাফোডিল স্কুলে প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্রগুলো।
শিল্পের শক্তিশালী মাধ্যম চলচ্চিত্রকে শিশুদের শিক্ষা ও বিনোদনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে গড়ে তুলতে ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় চিলড্রেন ফিল্ম সোসাইটিজ বাংলাদেশ। সংগঠনটির উদ্যোগে প্রতিবছর শিশু চলচ্চিত্রের এ মিলনমেলা বসে। – পার্সটুডে ।