মঙ্গলবার, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ঢাকায় আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র উৎসব

পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫ 

news-image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আকর্ষণীয় প্রামাণ্য চিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র প্রদর্শণীর মধ্যদিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার শেষ হয়েছে দুই দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র উৎসব। বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, রাশিয়া, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেয়। রাজধানী ঢাকার শিল্পকলাএকাডেমির আর্ট গ্যালারীতে শুক্রবার থেকে এই চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়। ঢেকিপ্রযোজনা আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন

করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপি।অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি মানসম্পন্ন প্রামাণ্য চিত্র বা একটি স্বল্প দৈর্ঘ চলচ্চিত্রএকজন মানুষ বা একটি সমাজকে বদলে দিতে পারে। যার নজির বাংলাদেশেই
রয়েছে। অনুষ্ঠানের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম বাদল বলেন, একটা চলচ্চিত্রের প্রাণহলো দর্শক। হৃদযন্ত্র ছাড়া একজন মানুষ যেমন বাঁচতে পারে না, তেমনি একটিচলচ্চিত্র যদি দর্শকনন্দিত না হয়, তাহলে তার কোন মূল্য থাকতে পারে না। অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের লচারালকাউন্সেলর সাইয়্যেদ মুসাহুসাইনী বলেন, চলচ্চিত্র হলোএমন একটা শিল্প যা মানুষের
বিনোদন জগতের অন্যতমআকর্ষণীয় দিক এবং সাংস্কৃতিকজগতে এটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবফেলতে সক্ষম। দর্শকদেরচাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখেযদি পেশাদারিত্বের সঙ্গে চলচ্চিত্রনির্মাণ করা হয় তাহলে তাপ্রামাণ্য চিত্র বা স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্রহলেও এরমাধ্যমে র্শকদের
কাছে সবচেয়ে কার্যকরি ওসুস্পষ্ট বার্তা পৌছে দেয়া সম্ভব। যেমটি একজন কবির ছোট্ট একটি কবিতায় মানব চরিত্রের মূল্যবান বাণি আমাদের স্মৃতিতে স্থায়ীভাবেজায়গা করে নেয়। ইরানে চলচ্চিত্র শিল্পের সফলতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মুসা হুসাইনী বলেন, ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের পর থেকেবিগত বছরগুলোতে ইরানের চলচ্চিত্র শিল্প চলচ্চিত্র জগতে দর্শকদের কাছে একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে।তিনি বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ চলচ্চিত্র নির্মাতারা যখন যৌনতাকে তাদের বাণিজ্যিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সস্তা বিনোদনেরঅংশ হিসেবে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে তখন ইরানের চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাদের পেশাগত দক্ষতা ও নান্দনিক শিল্পকর্মকেকাজে লাগিয়ে এবং সামাজিক, চারিত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধগুলোকে ব্যবহার করে চলচ্চিত্র জগতে দর্শকের কাছে একটা ভিন্ন মাত্রা যোগকরেছে। যে কারণে ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের পর থেকে ইরানের চলচ্চিত্র শিল্প একটা সফল চলচ্চিত্র শিল্প হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেজায়গা করে নিয়েছে। আর এই সফলতার অংশ হিসেবেই অস্কার ও কান পুরস্কার সহ বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সমৃদ্ধ হয়েছে ইরানেরচলচ্চিত্র শিল্প।

সম্প্রতি ইরানসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে মুক্তি পাওয়া ইরানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতামাজিদ মাজিদির নির্মিত চলচ্চিত্র মুহাম্মদ (সা:) প্রসঙ্গে ঢাকাস্থ ইরানের কালচারালকাউন্সেলর বলেন, ইরান ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ফিল্মের জন্য শ্যুটিং করা হয়।

এইফিল্মটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় ৭ বছর এবং ব্যয় হয়েছে কয়েক মিলিয়নডলার।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোন লোক লেখক বিশেষ করে কোন কোন পশ্চিমা শিল্পী যখন রাসুল (সা:)কে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছিল তখন জনাব মাজিদি এমন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় যেখানে রাসুল (সা:)এর রহমতপূর্ণব্যক্তিত্বের বাস্তব চিত্র ফুঁটে উঠে। তিনি মানুষের রহমত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন

তা যেন বিশ্বাবসীর কাছে তুলে ধরা যায়। যেমনটি মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,ওয়ামা আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতুল্লিল আলামামিন। আমি তোমাকে বিশ্বজগতের জন্যরহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি। আশা করছি এই ফিল্ম ইরান ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশেরপাশাপাশি বাংলাদেশী দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিবে।