জীবন, ভালবাসা ও পশুসম্পদ
পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ৮, ২০১৭
আভাজ গালানের বয়স ৫৫ বছর। ইরানের উত্তর খোরাসান প্রদেশের রাজ ও জারগালান গ্রামে তিনি বাস করেন। ঘোড়া পালক হিসেবে তার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। তার বাবা তুর্কমেনিস্তান থেকে ইরানে এসেছিলেন। আট বছর আগে আভাজ তার স্ত্রীকে হারিয়েছেন। স্ত্রী পরলোকে চলে যাওয়ার পর আভাজ তার দুই মেয়ে জয়নাব ও খাদিজাকে নিয়ে থাকেন। জয়নাবের বয়স ১৯ ও খাদিজার বয়স ২৩ বছর।
আভাজের বৃদ্ধা এক চাচী আছেন যার নাম শাহ-সোলতান। তার দুই ভাতিজা মোহাম্মদ ও আহম্মেদ তাদের বাবাকে হারিয়েছেন হেপাটাইটিস রোগে। তাদের মাও বেঁচে নেই।শাহ-সোলতান প্যারালাইজে আক্রান্ত। চোখে ঠিকমত দেখতে পান না। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর আভাজ পরিবারের সঙ্গে তিনি বাস করছেন। এ পরিবারের সবার কাছে তিনি মায়ের মত।
প্রতিদিনের কঠিন পরিশ্রম ও দারিদ্র কখনোই আভাজকে তার ঘোড়া পালন থেকে দূরে রাখতে পারে না। ঘোড়াগুলোকে খুব ভালবাসেন আভাজ। তিনি তার কাজকে যেমন ভালবাসেন, তেমনি জীবনকে। আর এদের অংশ হিসেবে আভাজ তার সাতটি ঘোড়াকেও ভালবাসেন। যদিও ঘোড়াগুলোর জন্যে চমৎকার এক আস্তাবল গড়ে তোলা আভাজের পক্ষে সম্ভব হয়নি তবুও কয়েক কিলোমিটার দূরে যেয়ে দিনে দুইবার ঘোড়াগুলোকে তিনি দেখাশোনা করে আসেন। তাদের ঘাস খেতে দেন। বন থেকে তিনি ঘাস কেটে আনেন। ঘোড়ার শাবক বিক্রি করে আভাজের সংসার চলে। আভাজের সবচেয়ে বড় গর্ব তার সৎ জীবন। সূত্র: তেহরান টাইমস