জাদুঘরে পরিণত হচ্ছে ইরানের আটশ বছরের প্রাচীন কানাত
পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ১৬, ২০২০
![news-image](https://www.iranmirrorbd.com/wp-content/uploads/2020/11/3435860.jpg)
ইরানের আরদাকানের কেন্দ্রীয় শহরের ৮শ বছরের প্রাচীন বাহায়েদ্দিন কানাতকে (ভূগর্ভস্থ পানির চ্যানেল) জাতীয় জাদুঘরে পরিণত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য হচ্ছে পানি ও কানাত। একারণে অঞ্চলের পানি ও কানাত পর্যটনের প্রসার ঘটাতেই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। সেই সাথে কানাত নির্মাণের জ্ঞান পরবর্তী প্রজন্মকে অবহিত করাই এর উদ্দেশ্য। বৃহস্পতিবার আরদাকানের পর্যটন প্রধান মোহসেন মিরজানির বরাত দিয়ে সিএইচটিএন এই খবর দিয়েছে।
ইরানের শুষ্ক অঞ্চলগুলোতে হাজার বছর ধরে কানাত পদ্ধতিতে (ভূগর্ভস্থ পানির প্রণালী) কৃষি ভূমি ও স্থায়ী বাসাবাড়িতে পানি সরবরাহ করা হয়। ইউনেসকোর মতে, শুষ্ক আবহাওয়ায় মরু অঞ্চলের এই কানাতগুলি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সভ্যতার ব্যতিক্রমী সাক্ষ্য বহন করে।
উল্লেখ্য, কানাত মূলত প্রাচীন পারস্যের এক বিস্ময়কর আবিস্কার। সে সময়ের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তাধারার এক প্রায়োগিক ব্যবস্থার নাম এই কানাত। ইরানের চারপাশে ছড়িয়ে আছে অনেক মরুভূমি। এ সকল মরুভূমিতে পানির অভাব ছিল ভীষণ। পানির অভাবে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত ছিল। ইরানের তৎকালীন শাসকের ইচ্ছায় এবং কিছু প্রযুক্তিবিদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ঘটানো হয় এই বৈপ্লবিক আবিস্কার। পাহাড়ের পাদদেশ থেকে মরুভূমির নিচ দিয়ে খাল খননের মাধ্যমে মূল শহর পর্যন্ত পানি নেওয়ার ব্যবস্থা করে পুরো ইরানের বাহ্যিক চেহারাই পাল্টে দেওয়া হয়েছিল সেসময়। তথ্যসূত্র: তেহরান টাইমস।