জাতীয় ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল তেহরানের যে ১৪টি ঐতিহাসিক স্থান
পোস্ট হয়েছে: জুন ১৯, ২০২০
ইরানের জাতীয় ঐতিহ্যের তালিকায় সম্প্রতি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে রাজধানী তেহরানের ১৪টি ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক স্থানকে। গত বুধবার ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, হস্তশিল্প ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জৈষ্ঠ্য কর্মকর্তা মোস্তাফা পুরালি এই তথ্য জানান। এই খবর দিয়েছে আইআরএনএ।
জাতীয় ঐতিহ্যের স্বীকৃত পাওয়া এসব ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক স্থানগুলোর মধ্যে লালেহজার স্ট্রিটের লালেহ হোটেল, পেস্তুর ইন্সটিটিউট অব ইরান, ফোর্ড বিল্ডিং, কেইতারিয়েহ ও মেলাল কালচারাল সেন্টার উল্লেখযোগ্য।
ললেহ হোটেল লালেহজার স্ট্রিটের একটি সড়কে ১৯৪৫ সালে নির্মিত হয়। ১৯৩০, ৪০ ও ৫০ সালের দিকে সড়কটি তেহরান ব্রোডওয়ে হিসেবে পরিচিত ছিল। লালেহজার স্ট্রিটের ছয়টি থিয়েটার সেন্টারে আধুনিক থিয়েটার স্কিনের যাত্রা শুরু হয়। এছাড়া এখানে রয়েছে ১৬টি সিনেমা হল। নান্দনিক নিদর্শনের লালেহজার গড়ে উঠেছে পাশ্চাত্য স্থাপত্য শৈলী এবং জাতীয় প্রতীক ও উপাদানের দারুণ সমন্বয়ে।
পেস্তুর ইনস্টিটিউট অব ইরান হচ্ছে একটি মেডিকেল সেন্টার। ১৯২০ সালের দিকে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মেডিকেল সেন্টারটিকে ইরান ও পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন শীর্ষস্থানীয় গবেষণা ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জাতীয় ঐতিহ্যের সদ্য স্বীকৃতি পাওয়া মেলাল কালচারাল সেন্টার হচ্ছে কাজার যুগের (১৭৮৯-১৯২৫) একটি প্রাসাদ। অন্যদিকে কেইতারিয়েহ পার্ক কাজার রাজা নাসের আদ-দিন শাহ (১৮২১ থেকে ১৯২৫) এর এক বোনের মালিকানাধীন একটি বাগান ছিল। সেটি এখন পার্ক হিসেবে গড়ে উঠেছে।
১১শতাব্দির ঐতিহাসিক ধারাবিবরণীতে তেহরানের নাম প্রথম উল্লেখ করা হয়। অঞ্চলটিকে তখনকার উত্তর রেই এর একটি ছোট গ্রাম হিসেবে বর্ণনা করা হয়। রেইকে প্রায় তেহরানের পূর্বনাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অঞ্চলটিতে খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ সালের বসতির নিদর্শন পাওয়া যায়। ১১শতাব্দিতে সেলজুক সাম্রাজ্যের সময় তেহরান রাজধানী হিসেবে আবির্ভূত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে প্রতিবেশী অঞ্চলগুলোর বিরোধপূর্ণ শত্রুতা ও ১২২০ সালে মঙ্গল আক্রমণে রাজধানী হিসেবে এটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়।
তেহরানে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় বহু স্থান রয়েছে। জনপ্রিয় স্থানগুলোর মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে- গোলেস্তান প্রাসাদ, গ্র্যান্ড বাজার, ট্রেজারি অব ন্যাশনাল জুয়েলস, ইরানের জাতীয় জাদুঘর, কাঁচ ও সিরামিক জাদুঘর, মাসউদিহ প্রাসাদ, সার্কিস ক্যাথেড্রাল, তেহরান মিউজিয়াম অব কন্টেম্পরারি আর্ট ও ইরানের জাতীয় জাদুঘর। সূত্র: তেহরান টাইমস।