জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেল ইরানের আঙুর চাষ পদ্ধতি
পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ৫, ২০১৮

ইরানের গতানুগতিক আঙুর চাষ পদ্ধতিকে একটি বিশেষ কৃষিব্যবস্থা ‘গ্লোবালি ইমপর্টেন্ট এগ্রিকালচার হেরিটেজ সিস্টেম’ (জিআইএএইচএস) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। দেশটির হামেদান প্রদেশের পল্লি জেলা মালাইয়ার কাউন্টির জোওজান ভ্যালিতে ঐতিহ্যবাহী ওই পদ্ধতিতে আঙুর চাষ হয়ে থাকে। বিশ্বে বিভিন্ন সময় কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থাকে জাতিসংঘের জিআইএএইচএস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
শুক্রবার ইতালির রাজধানী রোমে জিআইএএইচএস সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপের বৈঠকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর।
একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা মঞ্জুর করা হয়েছে ইতালির সোভ অঞ্চলের আঙুর ক্ষেতের জন্য। সোভে অনন্য উপায়ে আঙুর চাষ হয়ে থাকে এবং সেখানে আঙুরভিত্তিক কিছু পণ্যও উৎপাদন করে। এই চাষ পদ্ধতিকে জিআইএএইচএস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে অ্যাডভা্ইজরি গ্রুপ। ইতালিতে গতানুগতিক পদ্ধতি ও জ্ঞানের ব্যবহার করে আঙুর চাষ করা হয়। পাশাপাশি সেখানে জৈববৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ করা হয়।
এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ইতালি ও ইরানের অনন্য কৃষি চাষ পদ্ধতি বৈশ্বিক কৃষি ঐতিহ্যবাহী ব্যবস্থার তালিকায় স্থান পেল। এফওএ এর গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল হেরিটেজ নেটওয়ার্কে বর্তমানে বিশ্বের ২১টি দেশের ৫৪টি প্রাকৃতিক ভূচিত্র রয়েছে।
জিআইএএইচএস স্বীকৃতি পেতে হলে যেসব মানদণ্ড পূরণ করতে হয় তা হলো- সংশ্লিষ্ট কৃষি এলাকার বৈশ্বিক গুরুত্ব থাকতে হবে, সহযোগী খাদ্য ও জীবিকা নিরাপত্তার দিক দিয়ে ভালো হিসেবে জনগণের কাছে এর মূল্য থাকতে হবে, কৃষি-জৈববৈচিত্র্য, জ্ঞান পদ্ধতি, প্রযুক্তিকে খাপ-খাওয়ানো ও কৃষি সংস্কৃতি থাকতে হবে। একইসাথে থাকতে হবে অসাধারণ প্রাকৃতিক ভূদৃশ্য।
ইরানের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান কৃষি পরিকল্পনা, অর্থনীতি ও পল্লি উন্নয়ন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিভাগের উপপ্রধান আলি কিয়ানিরাদ বলেন, এই ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিষ্ঠান দায়বদ্ধ সংস্থা। সে হিসেবে আমরা জোওজান ভ্যালির আঙুর চাষ পদ্ধতির জন্য জিআইএএইচএস স্বীকৃতির জন্য প্রস্তাবনা পাঠাই ২০১৭ সালের শুরুর দিকে। মালাইয়ারে উৎপাদিত আঙুরের প্রায় ৯০ শতাংশ এই ভ্যালিতে চাষ হয় বলে জানান তিনি। সূত্র: ফিনানসিয়াল ট্রিবিউন ও তেহরান টাইমস।