চাঁদে মানুষ পাঠানো নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামছে রাশিয়া-আমেরিকা!
পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ২২, ২০১৬
চাঁদে মানুষ পাঠানো নিয়ে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে নতুন করে প্রতিযোগিতা শুরু হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০৩১ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বলে এর আগে ঘোষণা করেছে রাশিয়া। এদিকে,মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা’র পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় চাঁদে মানুষ পাঠানোর কর্মসূচি পুনরায় পুরোদমে শুরু করবে আমেরিকা।
১৯৬৯ সালে আমেরিকা প্রথম চাঁদে মানুষ পাঠায়। অবশ্য, রাশিয়া এ পর্যন্তা চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারে নি।
রাশিয়ার রকেট নির্মাণকারী সংস্থার প্রধান ভ্লাদিমির সোলনৎসেভ সম্প্রতি তাস সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ২০৩১ সালে রাশিয়ার প্রথম নভোচারী চাঁদে অবতরণ করবে। অবশ্য তার আগে চাঁদে মানুষবিহীন ধারাবাহিক ফ্লাইট অবতরণ করানো হবে। এ কর্মসূচি ২০২৬ সাল থেকে চালু করা হবে। ২০২৭ সালের মধ্যে অবতরণের সঙ্গে জড়িত সব ব্যবস্থা চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করবে রাশিয়া।
২০২৯ সালের মধ্যে ‘ফেদারেশন’ নামের নতুন এক রুশ মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ২০৩০ সাল থেকে চাঁদে মানুষবাহী মহাকাশ যান পাঠানোর কাজ শুরু হবে । পরের এক বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০৩১ সালে চাঁদে প্রথম রুশ নভোচারী নামানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাশিয়ায় প্রকাশিত ভিন্ন আরেক খবরে বলা হয়েছে, রুশ মহাকাশ সংস্থা রোককোসমোস চাঁদে ১২ নভোচারীর ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনাও করেছে।
এ দিকে, নাসা’র পর্যবেক্ষকরা প্রত্যাশা করছেন, ট্রাম্পের রিপাবলিকান মিত্র নিউট গিনরিচকে নতুন মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় পদে নিয়োগ দেয়া হবে। সাবেক হাউজ স্পিকার গিনরিচ চাঁদে মার্কিন বসতি স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। মঙ্গল অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদে ১৩ হাজার নভোচারীর বসতি স্থাপনের কথা বলেছিলেন তিনি।
অবশ্য নতুন করে মহাকাশ কর্মসূচি গ্রহণ করলে সংস্থাটির জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চলমান গবেষণাকে বাতিল করে দেয়া হবে বলেই ধরে নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি নাসা পরিচালিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশিদারিত্ব গড়ে তুলে এবং চাঁদ থেকে খনিজ সম্পদ আহরণের মধ্য দিয়ে চাঁদে মানুষ পাঠানোর কর্মসূচির খরচ ৯০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। এতে আরো বলা হয়েছে, চাঁদে চার নভোচারীর স্থায়ী ঘাঁটি নির্মাণে ৩৮০০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থের প্রয়োজন পড়বে। সূত্র: পার্সটুডে