গণবিধ্বংসী অস্ত্র উৎপাদন ইরানের জন্য রেডলাইন: সর্বোচ্চ নেতা
পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আবারো বলেছেন, পরমাণু ও রাসায়নিক অস্ত্রসহ গণবিধ্বংসী অস্ত্র উৎপাদন ইরানের প্রতিরক্ষা কর্মসূচির জন্য ‘রেডলাইন’। তবে শত্রুরা যাতে ভয় পায়- সামরিক খাতে এমন শক্তি অর্জন করতে হবে।
তিনি বুধবার ইরানের সামিরক বিশেষজ্ঞ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেছেন। অবশ্য, এ সময় সর্বোচ্চ নেতা পরিষ্কার করে বলেছেন, পরমাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি ইরানের জন্য নিষিদ্ধ। ইরানের সামরিক শিল্প-কারখানাগুলোর অর্জনের ওপর এক প্রদর্শনী ঘুরে দেখার পর এসব কর্মকর্তার উদ্দেশে বক্তৃতা করেন সর্বোচ্চ নেতা।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, “বিশ্বের বলদর্পী শক্তিগুলো যখন ক্ষমতার ছায়া এত বেশি বিস্তৃত করেছে এবং তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র মায়া-মমতা দেখা যাচ্ছে না এমনকি সন্ত্রাসবাদের নাম করে প্রকাশ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা বা সংগঠনের কাছে জবাবদিহি করছে না তখন এইসব বলদর্পী শক্তিকে মোকাবেলার জন্য প্রতিরক্ষা ক্ষমতা এমন পর্যায়ে বাড়ানো উচিত যাতে শত্রুরা ভয় পায় এবং ইরানকে একটা হুমকি মনে করতে বাধ্য হয়।” তিনি বলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র ও রাসায়নিক অস্ত্র নির্মাণ নিষিদ্ধ মনে করে তার আদর্শিক বিশ্বাসের কারণে। এই সীমাবদ্ধতা ছাড়া আমাদের প্রতিরক্ষা ও সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আর কোনো সীমাবদ্ধতা নেই বরং এই ক্ষেত্রে উন্নতি করা একটি দায়িত্ব। দেশের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যত রক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা সক্ষমতার সঙ্গে হামলার ক্ষমতাও বাড়াতে হবে অনেক।
সূত্র: পার্সটুডে