‘কাস্পিয়ান সাগরের শতকরা ২০ ভাগ সম্পদ ইরানের’
পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ১৯, ২০১৮

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, কাস্পিয়ান সাগরের শতকরা ২০ ভাগ সম্পদ তার দেশের মালিকানায় আসবে।
সম্প্রতি, কাস্পিয়ান সাগরের ‘আইনগত অবস্থান’ নিয়ে ইরান, রাশিয়া, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও আযারবাইজান একটি কনভেনশনে সই করার পর গত বুধবার এক টিভি অনুষ্ঠানে জারিফ একথা বলেছেন। তিনি বলেন, ইরানের সাবেক স্বৈরশাসক শতকরা ১১ ভাগ সম্পদ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল কিন্তু ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার তেহরান তা কখনো মেনে নেয় নি।
জাওয়াদ জারিফ বলেন, কাস্পিয়ান সাগরের সম্পদের শতকরা ৫০ ভাগ ইরানের প্রাপ্য বলে যেসব ব্যক্তি প্রচারণা চালান তাও ঠিক নয়। কারণ, এটা মেনে নিলে আযারবাইজান ও তুর্কমেনিস্তানের কোনো অংশ থাকে না। এ ধরনের চিন্তা বাস্তবতা বিবর্জিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জাওয়াদ জারিফ বলেন, ইরানের সাবেক শাসকের বিদেশ-নির্ভরতার কারণে সোভিয়েত ইউনিয়ন কখনো ইরানকে কোনো সম্পদের অধিকার দেয় নি; এমনকি এক ফোটা তেল উত্তোলনেরও উদ্যোগ নিতে পারে নি ইরান। কিন্তু ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেই সমস্যা কেটে গেছে এবং ইরানের অংশভাগ কমে যাওয়া ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, কল্পিত শতকরা ১১ ভাগের এখন আর কোনো বৈধতা নেই।
সম্প্রতি সই হওয়া কনভনেশনে ২৪টি অনুচ্ছেদ রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ হচ্ছে এই সাগরে বাইরের কোনো দেশের সামরিক উপস্থিতি থাকতে পারবে না। এছাড়া, এ সাগর দিয়ে বাইরে কোনো দেশ কোনো সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করতে পারবে না। পাশাপাশি সদস্য দেশগুলোর কেউ কাস্পিয়ান সাগরে অবস্থিত নিজেদের কোনো সামরিক ঘাঁটি বাইরের কোনো দেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে না। পার্সটুডে।