‘কাফের ও শয়তানি শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে’
পোস্ট হয়েছে: মে ৭, ২০১৯

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, গত ৪০ বছরে পবিত্র কুরআনের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা এবং পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে তার দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। কাজেই বর্তমানেও কাফের ও শয়তানি শক্তিগুলোর মোকাবিলায় বিজয়ের একমাত্র উপায় তাদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
পবিত্র মাহে রমজানের শুরুতে সোমবার সন্ধ্যায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে সর্বোচ্চ নেতা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে ইরানের বিশিষ্ট ক্বারীদের পাশাপাশি শিক্ষানবিশ ক্বারী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, বিশ্ব মানবতা বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর জন্য এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন কুরআনের শিক্ষা উপলব্ধি করে তা দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবায়ন করা। তিনি বলেন, এই কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী সাম্রাজ্যবাদী, কাফের ও শয়তানি শক্তিগুলোর ষড়যন্ত্র ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মুসলিম বিশ্বের বর্তমান সমস্যা ও সংকটের প্রধান কারণ কুরআনে কারিমের শিক্ষা না জানা এবং সে অনুযায়ী আমল না করা। তাঁর মতে, যারা রাজা-বাদশা কিংবা প্রেসিডেন্টের আসনে বসে জাতিগুলোকে ভয় দেখায় পবিত্র কুরআন তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি রুখে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। তাদের ওপর আস্থা রাখা যাবে না বলে কুরআনে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী কয়েক বছর আগে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার কিছু দেশে প্রচণ্ড গণআন্দোলন ও ইসলামি জাগরণের কথা স্মরণ করে বলেন, ওই আন্দোলনের মর্যাদা উপলব্ধি না করা এবং আমেরিকার ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি নির্ভরতার কারণে সেই জাগরণ পুরোপুরি চুপসে গেছে। কিন্তু ইরানি জনগণ পবিত্র কুরআনের শিক্ষা অনুসরণ করে নিজেদের ইসলামি বিপ্লবের মর্যাদা উপলব্ধি করে প্রথম থেকেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোকে বিশ্বাস না করে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। পার্সটুডে।