করোনাকালে সজীবতা লাভে ইরানের ইকোট্যুরিজম
পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ২৫, ২০২১
![news-image](https://www.iranmirrorbd.com/wp-content/uploads/2021/01/3668777.jpg)
করোনা ভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রায় এক বছর কেটে গেছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস পুরো বিশ্বকেই থমকে যেতে বাধ্য করেছে, স্থবির করে দিয়েছে সবকিছু।
বৈশ্বিক এই মহামারির কারণে মানুষজনের কর্মসংস্থান পুরোপুরি কিংবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় নানা বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক কোম্পানি। যা বৈশ্বিকভাবে বেকারত্ব বাড়িয়েছে।
এই ভাইরাস দ্বারা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় সর্বাপেক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে পর্যটন অন্যতম। কারণ বিশ্বব্যাপীই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে দীর্ঘ অচলাবস্থা তৈরি হয় পর্যটন খাতে। বিশেষত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় আবাসিক হোটেলগুলো।
এমন এক পরিস্থিতিতে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের জন্য সজীবতা লাভের বিশাল সুযোগ করে দিয়েছে ইরানের ইকোট্যুরিজম। যারা বাসায় ও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন তাদের সতেজতা ফিরে পাওয়ার নিরাপদ উপায় হচ্ছে এই ইকোট্যুরিজম।
চার ঋতুর দেশ ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে মূল্যবান ও মনোরম প্রকৃতি। প্রকৃতিপ্রেমী ও ইকো পর্যটকদের মনোরঞ্জনে দেশজুড়েই রয়েছে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন স্থান ও অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য।
করোনার এই বন্দিদশা জীবনে পল্লি অঞ্চলের ইকো-লজ ইউনিট এবং প্রকৃতির অন্তরে গিয়ে কিছুটা সময় কাটানো যে কতটা তৃপ্তিদায়ক তা বলে বোঝানোর নয়। যেখানে নেই শহরের হইহুল্পোড়, ছুটোছুটি। নেই বিষাক্ত ধোঁয়া আর দূষণ যন্ত্রণা। আধুনিক জীবনের বিশৃঙ্খলা এবং অশান্তি থেকে মুক্ত থাকার অসাধারণ সুযোগ করে দিয়েছে ইকোট্যুরিজম। তবে করোনা মহামারির কারণে অবশ্যই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই ভ্রমণ উপভোগ করতে হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানে দেশি-বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে কয়েকটি ঐতিহাসিক ম্যানসন ও গ্রামীণ বাসাবাড়িকে ইকো-লজ ইউনিটে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই লজগুলোতে আদিবাসী সংস্কৃতি, স্থানীয় প্রথা ও ঐতিহ্যকে মনোরমভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় স্থানীয় উপাদান দিয়ে তৈরি সুস্বাদু খাবার পরিবেশন দিয়ে।সূত্র: তেহরান টাইমস।