শনিবার, ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ওআইসির পুরস্কার পেল ইরানের পর্যটন

পোস্ট হয়েছে: জুলাই ১৫, ২০১৮ 

news-image

ইসলামি পর্যটন বিকাশের জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে আর্থিক পুরস্কার দিলো ইসলামি সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) অধীন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি (সিওএমসিইসি)। পুরস্কার হিসেবে দেশটিকে ৯৭ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছে। `টেকসই মুসলিম বান্ধব পর্যটনে স্থানীয় সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্তিকরণ’ শীর্ষক পর্যটন প্রকল্পের জন্য এই পুরস্কার দিলো মুসলিম বিশ্বের শীর্ষ জোট ওআইসি। রোববার বার্তা সংস্থা সিএইচটিএনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কিমটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রাথমিকভাবে ইরান, তুরস্ক ও কিরগিজিস্তানে বাস্তবায়ন করা হবে। অতঃপর পরবর্তীকালে তা অন্য মুসলিম দেশগুলোতে বাস্তবায়ন করা হবে। অবশেষে এই প্রকল্পটি জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বাস্তবায়ন করা হবে।

পর্যটন বিষয়ক প্রকল্পটির কৌশলগত যেসব লক্ষ্য উদ্দেশ্য রয়েছে তার মধ্যে কর্মসংস্থান তৈরি করা, পল্লি অর্থনীতির পুনর্নির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করা অন্যতম।

প্রসঙ্গত, সিওএমসিইসি প্রকল্পের আওতায় ওআইসির সদস্য দেশগুলোর প্রস্তাবিত শীর্ষ পর্যটন প্রকল্পগুলোতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। সেরা পর্যটনের স্বীকৃতি লাভের উদ্দেশ্যে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। সিওএমসিইসির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য মতে, গবেষণা প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা দুই কিস্তিতে পরিশোধ করা হয়। সিওএমসিইসি কর্তৃক গবেষণা পরিসংখ্যানের প্রথম খসড়া অনুমোদনের পর প্রথম কিস্তি পরিশোধ করা হবে। আর দ্বিতীয় কিস্তি পরিশোধ করা হবে গবেষণা প্রতিবেদন অনুমোদন লাভের পর।

ইরান গত জানুয়ারিতে হস্তনির্মিত শিল্প সংশ্লিষ্ট কর্মসংস্থান, ইকোট্যুরিজম ও আতিথিয়েতা শিল্প সংশ্লিষ্ট পল্লি অঞ্চল ও ছোট্ট শহরগুলোর ক্ষমতায়নে ২৪ ট্রিলিয়ন রিয়াল (৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দ দেয়।

উল্লেখ্য, ইরানের রয়েছে অত্যন্ত প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যসমৃদ্ধ পর্যটন। বিশ্বের প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আহ্বান জানিয়ে থাকে দেশটি। ইরানগামী এসব পর্যটকের জন্য রয়েছে দেশটির যাযাবর বা পল্লি পরিবারের সঙ্গে বসবাসের সুযোগ। গ্রাম্য কার্যক্রম, ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে এসব পল্লি পরিবারের সাথে স্বাধীনভাবে অবস্থান করার সুযোগ পাবেন ভ্রমণপিপাসুরা। সূত্র: তেহরান টাইমস।