শুক্রবার, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

একনজরে ইরানের ৭টি বড় বিমানবন্দর

পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ২৬, ২০২৫ 

news-image

বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ইরান জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন বিমানবন্দর।

ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তেহরানের মেহরাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর,মাশহাদের শহীদ হাশেমিনেজাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শিরাজের শহীদ দস্তগীব বিমানবন্দর, কিশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইসফাহানের শহীদ বেহেশতি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং তাবরিজের শহীদ মাদানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম বিমানবন্দর যেগুলো নিয়ে আজকের পার্সটুডের নিবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।

ইমাম খোমেইনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

ইমাম খোমেনি (রহ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইরানে বিদেশী বিমানের প্রধান উৎস এবং গন্তব্যস্থল হয়ে উঠেছে। এই বিমানবন্দরটি তেহরান-কোম মহাসড়ক থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং এর দুটি রানওয়ে রয়েছে যথাক্রমে ৪,১৯৮ এবং ৪,২৪৯ মিটার লম্বা এবং ৪৫ মিটার প্রশস্ত। ২০০৪ সালে ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর প্রকল্পের প্রথম পর্যায় কার্যকর করা হয়। এই বিমানবন্দরের বেশিরভাগ ফ্লাইটই বিদেশী।

তেহরান মেহরাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

মেহরাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইরানের অন্যতম সেরা বিমানবন্দর যেটি ১৯৩৮ সালে তেহরানের মেহরাবাদের ভূমিতে চালু করা হয়েছিল। ইমাম খোমেনি (রহ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে মেহরাবাদ বিমানবন্দরটি অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের জন্য প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে। তবে, কিছু বিদেশী জিয়ারত প্রার্থীর ফ্লাইট এখনও এই বিমানবন্দর থেকে পরিচালিত হয়। মেহরাবাদ বিমানবন্দরে ৬টি টার্মিনাল এবং ৩টি রানওয়ে রয়েছে যার দৈর্ঘ্য ৪৭৪, ৩,৯৯২ এবং ৪,০২৮ মিটার।

শহীদ হাশেমিনেজাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মাশহাদ

শহীদ হাশেমিনেজাদ বিমানবন্দর, যা ইরানের অন্যতম সেরা বিমানবন্দর হিসেবে বিবেচিত, মাশহাদের পানজদেহ খোরদাদ স্কয়ারে অবস্থিত। এই বিমানবন্দরের রানওয়ে ১৯৬৭ সালে চালু হয় এবং প্রতিদিন বিভিন্ন ফ্লাইট পরিচালনা করে। মেহরাবাদের পরে শহীদ হাশেমিনেজাদ ইরানের ব্যস্ততম বিমানবন্দর এবং এর দুটি রানওয়ে রয়েছে, ৩,৯২৫ এবং ৩,৮১১ মিটার লম্বা। এছাড়াও, এই বিমানবন্দরে ২টি টার্মিনাল রয়েছে, একটি অভ্যন্তরীণ বিমানের জন্য এবং অন্যটি আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য।

শহীদ দস্তগীব বিমানবন্দর,শিরাজ

ইরানের আরেকটি সেরা বিমানবন্দর হল সিরাজের শহীদ দস্তগীব বিমানবন্দর। শিরাজ বিমানবন্দরটি ১৯২৯ সালে প্রথম নির্মিত হয়েছিল। এই বিমানবন্দরে ৪,২৭২ এবং ৪,৩৩৪ মিটার লম্বা দুটি রানওয়ে রয়েছে এবং ইমাম খোমেনি বিমানবন্দরের পরে এখানে সবচেয়ে উন্নত নেভিগেশন সরঞ্জাম রয়েছে। শহীদ দস্তগহিব বিমানবন্দরে ২টি টার্মিনাল রয়েছে,একটি অভ্যন্তরীণ বিমানের জন্য এবং অন্যটি আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য।

কিশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

দক্ষিণ ইরানে কিশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের ধারণাটি ১৯৬০ সাল থেকে শুরু হয়। পরবর্তী বছরগুলোতে দ্বীপের উন্নয়নের সাথে সাথে ১৯৭৭ সালে এটি চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত এই বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনাটি আলোচ্যসূচিতে ছিল। কিশ বিমানবন্দরটি দ্বীপের কেন্দ্রীয় অংশে অবস্থিত এবং এর ৩টি টার্মিনাল রয়েছে। অভ্যন্তরীণ, আন্তর্জাতিক এবং সিআইপি। কিশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইরানের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরণের ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও,এই বিমানবন্দর থেকে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতেও ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়।

ইসফাহান শহীদ বেহেশতি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

ইসফাহান বিমানবন্দর ইরানের প্রাচীনতম বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি যেটি ১৯৮২ সালে জে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি হাইওয়েতে স্থানান্তরিত হয়। এই বিমানবন্দরটি ইসফাহান শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং ১,৩১৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে অবস্থিত। শহীদ বেহেস্তি বিমানবন্দরে ৪৩৯৭ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি রানওয়ে রয়েছে। ইসফাহানের শহীদ বেহেস্তি বিমানবন্দর ইরানের অন্যতম সেরা বিমানবন্দর যেখানে অত্যন্ত উন্নত নেভিগেশন সরঞ্জাম রয়েছে। এই বিমানবন্দরে অসংখ্য অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল করে।

তাবরিজ শহীদ মাদানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

১৯৪৭ সালে উত্তর-পশ্চিম ইরানের তাবরিজের আর্তেশ স্ট্রিটের শেষে এয়ার রেডিও নামে একটি অফিস প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ৩ বছর পরে এতে একটি মাটির রানওয়ে যুক্ত করা হয়। ১৯৫৬ সালে এটিকে একটি বিমানবন্দর হিসেবে রূপান্তর করার জন্য নেভিগেশন সরঞ্জাম সেখানে স্থানান্তর করা হয়। অবশেষে, ভবন নির্মাণ এবং আরও সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ১৯৫৫ সালে তাবরিজের শহীদ মাদানি বিমানবন্দরটি চালু করা হয়। সময়ের সাথে সাথে তাবরিজের শহীদ মাদানী বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক রূপ ধারণ করে এবং আজ যাত্রীবাহী বিমানের পাশাপাশি এটি সামরিক বিমানও পরিচালনা করে।

পার্সটুডে/