শুক্রবার, ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

উদ্বাস্তুদের আশ্রয়দানে ইরান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে : জাতিসঙ্ঘ

পোস্ট হয়েছে: মার্চ ১৯, ২০১৭ 

news-image

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার শিকার ইরানের কাছ থেকে শরণার্থী পুনর্বাসন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কিছু শেখার আছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ।

১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের যুদ্ধে দেশটির প্রায় ৬০ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশি ইরান ও পাকিস্তানে। চার দশক পরেও তেহরান ১০ লাখ নিবন্ধিত আফগান উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আরো ২০ লাখ এখনো ইরানে বাস করছে। উদ্বাস্তুদের গ্রহণে ইরান বিশ্বের চতুর্থ রাষ্ট্র।

বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার সিভাঙ্কা ধানপালা বলেন, ‘শরণার্থীদের আশ্রয়দান এবং তাদের জন্য সীমান্ত খোলা রেখে ইরান সরকারের নেতৃত্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটা এমন একটি ঘটনা, অথচ সচরাচর আলোচিত হয় না।’

এমন একটি সময়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য এল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ছয়টি মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী ও শরণার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সিরীয় শরণার্থীদের পুনর্বাসনে বাধা সৃষ্টি করছে।

ট্রাম্পের নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ ইরানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও ইতিমধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে মার্কিন আদালত।

তেহরানে ধানপালা বলেন, এটি পরিহাসের বিষয় যে, যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের জেরে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ের শিকার মানুষকে ইরান আশ্রয় দিচ্ছে, সে সময় ইরানিদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।

এর আগে অনিবন্ধিত শরণার্থীদের ব্যাপারে ইরানে কিছু কঠোর আইন থাকলেও সম্প্রতি তা শিথিল করার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। এখন থেকে নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করতে পারবে তারা।

ইরান শিগগিরই অনিবন্ধিত শরাণার্থীদের কাজে নিয়োগের আইন শিথিল করবে এবং আরো শরণার্থীকে নিবন্ধিত করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট