রবিবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইসলামের প্রাথমিক যুগের কাঠামো আরদেস্তান জামে মসজিদ ভ্রমণ

পোস্ট হয়েছে: জুলাই ২০, ২০২০ 

news-image

মধ্য ইরানের প্রাচীন মরুদ্যান শহর আরদেস্তান। শহরটির নামেই নামকরণ করা হয়েছে আরদেস্তানের ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদের। যার রয়েছে ব্যাপক ঐতিহাসিক গুরুত্ব। এই গুরুত্বের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এটা এমন একটি প্রাচীন স্থাপনা, যেখানে সাসানি, বুইদস, সেলজুক ও সাফাভি যুগের স্থাপত্য শৈলীর সফল সংমিশ্রণ ঘটেছে।

আরদেস্তানের জামে মসজিদটি ইসলামের একেবারে প্রাথমিক যুগের একটি কাঠামো। দীর্ঘ ইতিহাসে ভবনটিতে বহু সম্প্রসারণ কাজ করা হয়েছে। সেলজুক যুগ (সিএ ১০৪০ থেকে ১১৯৬) থেকে সেখানে দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম ঘটে।

দ্বিতল-বিশিষ্ট হাইপোস্টাইল মসজিদটি ইসফাহান প্রদেশে অবস্থিত। চক্রাকার তোরণগুলোর মধ্যখানে রয়েছে একটি চার-বারান্দার আঙ্গিনা। বড় অংশ জুড়ে রয়েছে নামাজের স্থান। এর সাথে রয়েছে একটি জলাশয়, একটি সরাইখানা, একটি বাজারের স্থাপনা, একটি গোসলখানা এবং একটি মাদ্রাসাসহ  মাটির ইট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন কাঠামো।

আরকনেট এর তথ্যমতে, ভবনটি ১২০০ খ্রিস্টাব্দে (৬শ হিজরি) গড়ে ওঠা সম্পর্কে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে প্রথমদিককার একটি মসজিদের অবশিষ্টাংশ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ভবনটির মূল ভিত্তি স্থাপন করা হয় দশম থেকে এগারো শতাব্দীতে (৪শ থেকে ৫শ হিজরি)।

সাসানি কাঠামো অধিকৃত একটি স্থানের ওপর মসজিদটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খনন অভিযানে মসজিদটির অংশবিশেষ আবিষ্কৃত হয়। প্রথম দিকে মসজিদটি ছিল হাইপোস্টাইল ধরনের। কেন্দ্রীয় চত্বরের চারপাশ ঘিরে রয়েছে তোরণ।

এসব তোরণের কিছু অংশবিশেষ বর্তমান মসজিদেও দেখা যায়। এগুলো পিপা ভল্ট দিয়ে মোড়ানো। বর্তমানে চার বারান্দার মসজিদটিতে আয়তক্ষেত্রকার চত্বরের মাঝে একটি অসমতল স্থান রয়েছে।

দক্ষিণপশ্চিম (কিবলা) অংশ ও আঙ্গিনার উত্তরপূর্ব অংশের আইওয়ান সবার চেয়ে বড়। এগুলো উচ্চতায় অনেক বড় এবং সুপ্রশস্ত।

ইসফাহান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পর্যটন ও হস্তশিল্প দপ্তরের তথ্যমতে, মসজিদটি ১৯৩১ সালে ইরানের জাতীয় ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সূত্র: তেহরান টাইমস।