ইরান সফরে ধারণাই পাল্টে গেলো জাপানি নারী সাংবাদিকের
পোস্ট হয়েছে: জুন ২৭, ২০২১
ইরানের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ধারণা পাল্টে গেলো চীনা নারী সাংবাদিক মিসো কুমোদের। ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সংবাদ কাভার করতে মিসো যান ইরানে। তার মত ৫শ’ সাংবাদিক বিভিন্ন দেশ থেকে ইরান গিয়েছিলেন। টোকিও শিম্বুনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রধান মিসো ইরানের বার্তা সংস্থা মেহরকে বলেন, ইরানে নারীর মর্যাদা সম্পর্কে পশ্চিমা মিডিয়া তার মনে যে ধারণা সৃষ্টি করেছিল তেহরান সফরের পর তা বদলে গেছে। তিনি বলেন, ইরান সফরের আগে আমি মনে করতাম দেশটিতে সকল নারীকে চাদর পড়তে হয় এবং আমি যদি তেহরানের রাস্তায় ছবি তুলতে যাই তাহলে কেউ এসে আমাকে ছবি তোলার কারণ জিজ্ঞেস করতে পারে বা এ নিয়ে তদন্ত হতে পারে। কারণ আমার ধারণা ছিল তেহরান ‘রেস্টিক্টেড সিটি’ এবং ইরানি নারীদের সুশীল ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে উপস্থিতি খুবই কম।
ইরানি খাবারের ভুয়সী প্রশংসা করে মিসো বলেন, তেহরানের ভৌগলিক অবস্থান, পাহাড়ে ঘেরা শহরটি তার খুবই ভাল লেগেছে। ইচ্ছে আছে পাহাড়ে ওঠার জন্যে ফের তিনি তেহরান সফর করবেন। রয়টার্স ও এপিসহ পশ্চিমা মিডিয়ার মাধ্যমে ইরান সম্পর্কে তিনি যতটুকু জেনেছিলেন তেহরান সফরে এসে দেশটি সম্পর্কে যেন তার ধারনাই পাল্টে যায়।মিসো বলেন, ইরানে এসে আমার মন মানসিকতা বদলে গেছে। ইরানিদের সম্পর্কে আমার ভাল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। আমি তাদের ভালবাসি। তারা খুবই সুন্দর ও ভালো ব্যবহার করে। আমি শিক্ষিত ইরানিদের সঙ্গে কথা বলেছি। সাংবাদিক হিসেবে যখন ইরান সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরি করেছি, কট্টরপন্থী ও আদর্শবাদীদের অবস্থান ইরানের রাজনীতিতে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে আমার কাছে।
ইরান সফরে এসে ভেন্টিলেটর তৈরির কারখানা পরিদর্শনের কথা জানিয়ে মিশো বলেন, পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর দেশটিতেই তৈরি হচ্ছে। মাস্ক ও কোভিড ভ্যাকসিন দেশটিতে তৈরি হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরিতে বেগ পেতে হলেও এ বাধা অতিক্রম করেছে ইরান। পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যেয়ে দেশটির মানুষের ওপর বিভিন্ন সংকট চাপিয়ে দিয়েছে। কোভিড মহামারীর সময়ে এধরনের নিষেধাজ্ঞার কোনো যৌক্তিক কারণও নেই বলে মনে করেন মিশো। মেহের নিউজ