‘ইরান যে কোনো সম্ভাব্য হামলার সর্বোচ্চ কঠোর জবাব দেবে’
পোস্ট হয়েছে: জুলাই ২, ২০১৭

ইরানের বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ ইমামি কাশানি বলেছেন, তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ বা আইএসআইএল-কে শাস্তি দেয়ার জন্য তার দেশের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেসবই ছিল যথাযথ ও সময়োপযোগী।
তিনি তেহরানের জুমা নামাজের খুতবায় এই মন্তব্য করেছেন।
আয়াতুল্লাহ কাশানি বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো ও তাদের মদদদাতারা জেনে রাখুক ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান যে কোনো সম্ভাব্য হামলার পরিপূর্ণ কঠোর জবাব দেবে এবং এক্ষেত্রে কোনো ধরনের করুণা বা দয়া দেখাবে না।
তিনি ইসলামী ইরানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দৃষ্টান্তমূলক হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, ইরানে আজ যে নিরাপত্তা, প্রশান্তি, সামরিক ও বৈজ্ঞানিক শক্তিমত্তা দেখা যাচ্ছে তা এ প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (র)’র নেতৃত্বে সূচিত ইসলামী বিপ্লবের সুবাদেই সম্ভব হয়েছে।
তেহরানের জুমা নামাজের অস্থায়ী খতিব আয়াতুল্লাহ কাশানি ইরাকের মসুল সন্ত্রাসীমুক্ত হওয়ায় দেশটির সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, মার্কিন, ইসরাইলি ও সৌদি সরকারই এ অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের প্রধান সহযোগী।
উল্লেখ্য, ইরানে আইএসআইএল বা দায়েশের সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি সিরিয়ার দেইর আজ-জোর প্রদেশে উগ্র এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদরদপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। আইআরজিসি গত ১৮ জুন ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য মধ্যম পাল্লার ৬ টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে দায়েশের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারসহ ১৭০ জন নিহত হয়। এ ছাড়াও এতে দায়েশের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৬৫০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ইরাকের আকাশসীমা ছাড়িয়ে সিরিয়ায় আঘাত হানে। আইআরজিসি বলেছে, “ইরানের নিরীহ সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরার ঘটনা বিনা জবাবে পার পাবে না।
গত ৭ জুন ইরানের জাতীয় সংসদ ভবন ও ইমাম খোমেনী (র)’র মাযারে চালানো দায়েশের হামলায় ১৮ জন শহীদ ও ৫০ জন আহত হয়েছিলেন। দায়েশ সন্ত্রাসীরা হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছিল। সূত্র: পার্সটুডে।