ইরান ও ইরাকসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পালিত হচ্ছে পবিত্র আরবাঈন
পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ৮, ২০২০

ইরান ও ইরাকসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে ইমাম হুসাইন (আ)’র শাহাদাতের চেহলাম-বার্ষিকী বা আরবাঈন। অবশ্য প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর ইরাক সরকার কারাবালগামী বিদেশি শোক পালনকারীদের সংখ্যা সীমিত করে দিয়েছে।
ইরাকের পবিত্র কারবালায় আজ (বৃহস্পতিবার) ইমাম হুসাইন (আ)’র শাহাদাতের ১৩৮১তম চেহলাম-বার্ষিকী বা আরবাঈন পালন করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে বিশ্বের ৫৫ দেশের কয়েক মিলিয়ন অনুরাগী এ উপলক্ষে জড় হয়েছিলেন পবিত্র এই শহরে। জিয়ারতে আরবাইন নামক বিশেষ দোয়া পাঠ হচ্ছে আজকের এই দিনের অন্যতম প্রধান কর্মসূচি।
গত বছর কেবল ইরান থেকেই ৩৫ লাখ ইরানি জিয়ারতকারী আরবাঈনে যোগ দেয়ার জন্য ইরাকের কারবালায় গিয়েছিলেন। ইরান হয়ে বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশের লাখ লাখ জিয়ারতকারী প্রতি বছর কারবালায় যান। কিন্তু এ বছর কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায়সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে গিয়ে জিয়ারতকারীর সংখ্যা ব্যাপক মাত্রায় কমিয়ে আনা হয়েছে।
ইরানে সামাজিক দূরত্ব মেনে পালন করা হচ্ছে শোকানুষ্ঠান
প্রতি বছর ঐতিহাসিক ২০ সফর পালন করা হয় শহীদ-সম্রাট হযরত ইমাম হুসাইনের (আ.) শাহাদাতের চেহলাম। এর আগে সাদ্দাম সরকারের শাসনামলে ইরাকে আরবাঈন পালন করার ক্ষেত্রে ব্যাপক বাধা দেয়া হত এবং সরকারের নানা বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও সন্ত্রাসী হামলা সত্ত্বেও ইরাকের বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ জনগণ আরবাঈনের সময় সাধারণ পথ এড়িয়ে কোনো না কোনোভাবে কারবালায় উপস্থিত হতেন।
এদিকে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতিতে পালন করা হচ্ছে ইমাম হুসাইন (আ)’র শাহাদাতের ১৩৮১ তম চেহলাম-বার্ষিকী বা আরবাঈন। সর্বত্র বিরাজ করছে গভীর শোকের বিশেষ ভাবগম্ভীর পরিবেশ। মসজিদসহ সারা দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলোচনা ও শোক-সভা। এ ছাড়াও সর্বসাধারণের মাঝে বিলানো হচ্ছে নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী। পার্সটুডে।