ইরানে ২৬ বছরে মুদ্রাস্ফীতি সর্বনিম্নে
পোস্ট হয়েছে: জুন ২৩, ২০১৬

ইরানে মুদ্রাস্ফীতি গত ২৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে অর্থাৎ সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে ১০ ভাগে দাঁড়িয়েছে। গত কুড়ি জুন ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য দিয়েছে। ইরানের বর্তমান সরকার মুদ্রাস্ফীতির হার হ্রাস করার ব্যাপারে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় তারই ফলশ্রুতিতে মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। ৬ পরাশক্তি দেশের সঙ্গে ইরানের পারমানবিক শক্তি নিয়ে চুক্তির পর মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বনিম্নে নামিয়ে আনার বিষয়টিকে দ্বিতীয় বিজয় হিসেবে দেখছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ইরানের পরিসংখ্যান কেন্দ্র বলছে শহরাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতির হার সাড়ে নয় ভাগ ও গ্রামাঞ্চলে এ হার ১০ ভাগের নিচে নেমেছে। ভোক্তাদের খরচ কমিয়ে আনার উদ্যোগ মুদ্রাস্ফীতি হারে ভাল প্রভাব রেখেছে। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি যখন দায়িত্ব নেন তখন ইরানে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৩৪ ভাগ। ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ওই সময় ইরানি মুদ্রা রিয়াল তার ৭০ ভাগ মূল্য হারায়। বর্তমানে ইরানের মুদ্রা ১০ ভাগ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে ইরানের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে শূন্য দশমিক ৫ ভাগ হারে। অবরোধ প্রত্যাহারের পর বস্তুত ইরানের অর্থনীতিতে গতি ফিরে এসেছে। তারপরও ইরানের ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক লেনদেন পুরোমাত্রায় এখনো শুরু করতে পারেনি। যা সম্ভব হলে তা ইরানের অর্থনীতিতে আরো গতি সৃষ্টি করবে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইরানের যে অর্থসম্পদ আটকে আছে তা ছাড় করা গেলে তাও দেশটির অর্থনীতির জন্যে সহায়ক হয়ে উঠবে। সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল ট্রিবিউন