ইরানে নীতি নির্ধারণী পদে বাড়ছে নারীদের উপস্থিতি
পোস্ট হয়েছে: এপ্রিল ১৮, ২০১৮

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে কর্মক্ষেত্রে ব্যবস্থাপক পদে অবিচলভাবে বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ। এছাড়া নীতি নির্ধারণী পদেও উপস্থিতি বাড়ছে ফার্সি নারীদের। বর্তমানে ইরানের ব্যবস্থাপক পদে নারীদের অবদান ৩০ শতাংশ।
ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুমেহ ইবতেকার এই তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুই দিনের স্টকহম সফরে সুইডেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী অ্যান লিন্দের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি। এসময় ইরানের নারীর ক্ষেত্রে অর্জিত সফলতাগুলো তুলে ধরেন ইবতেকার।
তিনি বলেন, ইরানে উচ্চ শিক্ষায় নারীদের প্রবেশাধিকার ক্রমেই বাড়ছে এবং নারী স্নাতক ইউনিভার্সিটির সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। যা নারীদের বিশেষ বিশেষ চাকরি লাভের ক্ষেত্রে অধিক সুযোগ সুবিধা তৈরি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা নারীদের জন্য বিভিন্ন অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা তৈরির মাধ্যমে, বিশেষত বেসরকারি ও উদ্যোক্তা খাতে সুযোগ সুবিধা তৈরির মাধ্যমে অর্থনীতেতে নারীদের বৃহত্তর অংশ গ্রহণের পথ প্রসস্ত করার উপায় খুঁজছি।
ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুমেহ ইবতেকার আরও জানান, বর্তমানে তার দেশে ব্যবস্থাপক পদসমূহে নারীদের ৩০ শতাংশ অবদান রয়েছে এবং নীতি নির্ধারণী পদসমূহে তাদের উপস্থিতি অবিচলভাবে বাড়তে দেখা গেছে।
এক অনুসন্ধানে ২০০৬ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ইরানের চাকরির বাজারে পুরুষদের তুলনায় নারীদের অংশগ্রহণ কমতে দেখা গেছে। কিন্তু বিগত তিন বছরে নারী-পুরুষের এই অংশগ্রহণের চিত্র উল্টে গিয়ে নারীদের কর্মসংস্থান বাড়তে দেখা গেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির শীর্ষ অর্থনীতি বিষয়ক সহযোগী মাসুদ নিলি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কর্মক্ষেত্রে ইরানি নারীদের অংশগ্রহণ ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে। কিন্তু বর্তমানে চাকরির বাজারে নারীদের প্রবেশের হার ৫০ শতাংশেরও বেশি। সামনের বছর গুলোতে ইরানের উচ্চশিক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করা গেলে দেশের চাকরির বাজারে নারীরা নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখতে পারবে বলেন জানান তিনি।
নিলি আরও জানান, ইরানে ১৯৯৬ সালে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে কম ছিল এবং ২০১৬ সালে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ছিল সবচেয়ে বেশি। সূত্র: আইএফপি নিউজ ও তেহরান টাইমস।