ইরানে তৃতীয় ক্লোন ছাগলের জন্ম
পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
ক্লোনিং পদ্ধতিতে ছাগলের বাচ্চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। এবার ক্লোনিং পদ্ধতিতে দেশটির মুরসিয়া-গ্রানাডা প্রজাতির তৃতীয় ছাগলের জন্ম হয়েছে। ছাগলটি উৎপাদনে সফল হয়েছে ইরানের রোয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।রোয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইসফাহান প্রদেশের ক্যাম্পাসের ভ্রূণবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. মাহদি হাজিয়ান এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘‘এর আগে ক্লোন পদ্ধতিতে সফলভাবে সানেন ও অ্যালপাইন ছাগলের জন্ম হয়েছে। আমরা মুরসিয়া-গ্রানাডা প্রজাতির এই ছাগলের তৃতীয় ক্লোন করতে চেয়েছিলাম। আমরা তাতে সফল হয়েছি।’’
মুরসিয়া-গ্রানাডা প্রজাতির এই ছাগলের প্রধান প্রধান গুণাবলী তুলে ধরে ইরানি বিজ্ঞানীরা বলেন, স্পেন থেকে ছাগলের প্রজাতিটি আমদানি করা হয়েছে। এই ধরনের ছাগলের প্রজননের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়কাল নেই। ছাগীরা বছরের যেকোনো সময়ের তাপমাত্রার মধ্যে চলাচল করতে পারে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দুধ উৎপাদন করা সম্ভব এই ছাগল থেকে।
হাজিয়ান বলেন, প্রয়োজনীয় স্টেম সেল পেতে আমরা আমদানিকৃত ছাগলের কান থেকে নমুনা টিস্যু বের করতে সক্ষম হয়েছি। ইসফাহান রোয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এটা তৃতীয় ছাগল।
এক মাস আগে ছাগলটির জন্ম হয়। তখন থেকে এর অবস্থা বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান এই বিজ্ঞানী।
ক্লোন পদ্ধতির তিনটি ছাগলের গুণাগুণের তুলনামূলক বর্ণনা দিয়ে হাজিয়ান বলেন, প্রতিটি ছাগলের আলাদা আলাদা অনন্য গুণাগুণ আছে। প্রথম দুটি ক্লোন ছাগল অধিক পরিমাণের দুধ দিত। এ দুটি ছাগল একত্রে যেখানে ৩ থেকে ৪ কেজি দুধ দিত সেখানে সদ্যজন্ম নেয়া ছাগল একাই দুই থেকে তিন কেজি দুধ দেবে এবং অধিক মাত্রায় তাপ সহায়ক।
২০০৬ সালে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম রোয়ানা নামে ক্লোন ভেড়ার জন্ম দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইরান। বিগত কয়েক বছরে ইরান ক্লোনিং পদ্ধতিতে একই ধরনের ছাগলের বাচ্চা উৎপাদন করে এ খাতে বিশ্বে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। ক্লোনিংয়ের পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন ও চীনের পরেই ইরান সাফল্য অর্জন করে। ইরান এ পদ্ধতিতে বাছুরও জন্ম দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানই একমাত্র দেশ যে ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে গরু, ছাগল ও ভেড়া জন্ম দিতে সক্ষম।
সূত্র: মেহর নিউজ এজেন্সি।