ইরানে ওমর খৈয়াম স্মরণ দিবস পালন
পোস্ট হয়েছে: মে ১৮, ২০২১

কিংবদন্তি ফারসি গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ এবং কবি ওমর খৈয়ামের (১০৪৮-১১৩১) স্মরণ দিবস পালন করল ইরান। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী খৈয়ামের নাম বিশ্বসাহিত্য কিংবা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, গণিতজ্ঞ, শিক্ষক, জ্যোতির্বিদ, চিকিৎসক, দার্শনিক, সুফি এবং চার লাইনবিশিষ্ট কবিতা রুবাই-এর স্রষ্টা।
১৮ মে ওমর খৈয়ামের স্মরণ দিবস। দিনটি ইরানিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক দিবস হিসেবে বিবেচিত হয়।এ উপলক্ষে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ কবির জন্মস্থান নিশাপুরে পালিত হয় বিশেষ উৎসব। এসব অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা ওমর খৈয়ামের অবদান, চিন্তাধারা, কবিতা এবং তার জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
ওমর খৈয়াম হিজরি পঞ্চম শতকের শেষের দিকে ১০৪৮ সালের ১৮ মে তৎকালীন পারস্যের খোরাসান প্রদেশের নিশাপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্ণ নাম আবুল ফাত্হ ওমর ইবনে ইবরাহীম আল খৈয়াম। খৈয়াম শব্দের অর্থ তাঁবু নির্মাতা। তার বংশের কেউ হয়তো এ পেশায় যুক্ত ছিলেন তাই এ শব্দটি তার নামে সাথে যুক্ত হয়েছে।
তিনি ছিলেন একাধারে উচ্চ পর্যায়ের দার্শনিক, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ, বিজ্ঞানী, লেখক ও কবি। তিনিই সুলতান জালালউদ্দিন মালিক শাহ’র অনুরোধে রাজকীয় মানমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময় সুলতান তাকে একটি নির্ভুল সৌর বর্ষপঞ্জি তৈরির অনুরোধ করলে মাত্র সাতজন সহকর্মী নিয়ে অল্পদিনের মধ্যে তিনি তা তৈরি করতে সক্ষম হন। সুলতান জালালউদ্দিন মালিক শাহ’র নাম অনুসারে এর নাম দেওয়া হয় আত তারিখ আল জালালী অব্দ। হিজরি ৪৭১ সালের ১০ই রমজান থেকে এ বর্ষপঞ্জি চালু হয়। এ সময় ওমর খৈয়াম একটি নতুন গ্রহও আবিষ্কার করেন। এর নাম দিয়েছিলেন ‘জালাল’।
১১৩০ সালের দিকে তিনি শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ হতে শুরু করেন। সে সময় থেকেই তিনি অনেকটা নিভৃত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। ১১৩১ সালের ৪ ডিসেম্বর ৮৩ বছর বয়সে তিনি পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান। সূত্র: মেহর নিউজ এজেন্সি।