মঙ্গলবার, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইরানে ইসলামি পর্যটনের রাজধানীর স্বীকৃতি উদযাপন

পোস্ট হয়েছে: এপ্রিল ২৬, ২০১৮ 

news-image

মুসলিম দেশগুলোর সবচেয়ে বড় পর্যটন ইভেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলো ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর তাবরিজ ২০১৮ সালের জন্য ইসলামি পর্যটনের রাজধানী হিসেবে যে স্বীকৃতি পেয়েছে, তা উদযাপন করতে ‘তাবরিজ ২০১৮’ নামে একটি আন্তর্জাতিক ইভেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে দেশটিতে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বুধবার (২৫ এপ্রিল) ইভেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কয়েকটি মুসলিম দেশের মন্ত্রী ও কূটনীতিকসহ অংশ গ্রহণ করেন কয়েক ডজন বিদেশি প্রতিনিধি।

ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর তাবরিজ সিল্ক রোডের একটি প্রধানতম জায়গা এবং এটি ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ার প্রবেশ পথ। দেশটির ইতিহাস ও অর্থনীতিতেও বিশেষ স্থান রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই শহরটির। দৃশ্যত কারণেই ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পর্যটনমন্ত্রীদের নবম সম্মেলনে তাবরিজকে ২০১৮ সালের ইসলামি পর্যটনের রাজধানী হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়। সেসময় ওআইসিভুক্ত ৫৭টি মুসলিম দেশের ৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে ইসলামি পর্যটনের রাজধানী নির্বাচিত হয় তাবরিজ।

ওআইসি প্রথম ২০১৫ সালে পবিত্র জেরুজালেমক ইসলামি পর্যটনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পরে ২০১৬ সালে তুরস্কের কোনিয়া ও ২০১৭ সালে সৌদি আরবের পবিত্র শহর মদিনাকে ইসলামি পর্যটনের রাজধানী হিসেবে মনোনীত করা হয়।

ইরান ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাড়ে তিন হাজার বছরের প্রাচীন শহর তাবরিজে রয়েছে প্রায় ১৮শ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যা ইরানের জাতীয় ঐতিহ্যের তালিকায় নিবন্ধিত হয়েছে। এরমধ্যে গ্রান্ড মসজিদ ও তাবরিজ সিটাডেল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও হাতেবোনা গালিচা ও গয়নাসহ হস্তশিল্পের জন্য বিখ্যাত ইরানের তাবরিজ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রুহানি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে সংযুক্ত হতে পর্যটনের প্রচার-প্রসার একটি ভালো উপায় হতে পারে। ‘‘পর্যটন মানুষকে অন্যান্য দেশের ইতিহাস জানতে সাহায্য করে এবং এভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে গভীর বোঝাপড়াও তৈরি হয়’’।

রুহানি বলেন, প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটন খাতে বিশ্বের মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারলে তা যেমন ইরানিদের জীবনযাপনের অবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করবে তেমনি দেশটির অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, সিল্ক রোডের একটি প্রধান স্থান ও ইউরোপের প্রবেশ পথ হওয়ায় পশ্চিমাদের পাশাপাশি তাবরিজ ইসলামি দেশগুলোর মানুষের কাছেও অত্যন্ত আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হতে পারে।

রুহানি বলেন, কেবল ২০১৮ সালের জন্য নয় দশকের পর দশক ধরে তাবরিজ যাতে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হয় সেজন্য পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জনগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।

ইরানের সবচেয়ে বড় এই পর্যটন ইভেন্টে আজারবাইজান, তুরস্ক, আফগানিস্তান, ইরাক, আর্মেনিয়া, বাংলাদেশ, উজবেকিস্তান, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, তুর্কমেনিস্তান, বুলগেরিয়া, তাজিকিস্তান ও বেলারুশের পর্যটনমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সূত্র: ইরান ডেইলি, প্রেসটিভি।