রবিবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইরানের ১১ মাসে ১২০ মিলিয়ন ডলারের হ্যান্ডিক্র্যাফ্ট রপ্তানি ( ভিডিও )

পোস্ট হয়েছে: জুন ১০, ২০২১ 

news-image

গত ফারসি বছরের প্রথম ১১ মাসে (২০ মার্চ ২০২০ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১) ইরানের হ্যান্ডিক্র্যাফ্ট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। খবর মেহর নিউজ এজেন্সির।

করোনাভাইরাস মহামারিতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত বছরের উল্লিখিত ১১ মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশটির হ্যান্ডিক্র্যাফ্ট রপ্তানি কমেছে।

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পর্যটন ও হস্তশিল্প মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ফারসি বছর ১৩৯৯ সালের প্রথম ১১ মাসে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের হ্যান্ডিক্র্যাফ্ট রপ্তানি করে। এরমধ্যে ইরানের ২০টি প্রদেশ থেকে স্যুটকেস বাণিজ্যের (পর্যটকদের শুল্ক ও কর মুক্ত ক্রয়) মাধ্যমে আয় হয়েছে ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিশ্ব কারু কাউন্সিলে (ডব্লিউসিসি) বিখ্যাত হ্যান্ডিক্র্যাফ্টের জন্য ইরানের ১৪টি শহর ও গ্রাম নিবন্ধনভুক্ত হয়েছে। এই সংখ্যা নিয়ে বিশ্বে হ্যান্ডিক্র্যাফ্ট উৎপাদন নগর ও গ্রামের সংখ্যায় প্রথম স্থানে রয়েছে দেশটি। এই তালিকায় চীন সাতটি শহর ও গ্রাম নিয়ে দ্বিতীয়, চিলি চারটি নিয়ে তৃতীয় ও ভারত তিনটি নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।


২০২০ সালের জানুয়ারি ইরানের শিরাজ, মালায়ের ও জানজান শহর এবং কাসসেমাবাদ গ্রাম ডব্লিউসিসি-এশিয়া প্যাসিফিক রিজিয়নের খেতাব লাভ করে। এ নিয়ে ইরানের বিশ্ব কারু শহর ও গ্রামের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪টিতে।

শিরাজকে ‘বৈচিত্র্যময় হ্যান্ডিক্র্যাফ্টের বিশ্ব নগরী’, মালায়েরকে ‘কাঠ খোদাই এবং খোদাই করা কাঠের আসবাবপত্রের বৈশ্বিক হাব’  হিসেবে নামকরণ করা হয়। ‘জানজানকে ‘ওয়ার্ল্ড সিটি অব ফিলিগ্রি’ খেতাব দেয়া হয়। আর কাসসেমাবাদ গ্রাম ‘চাদর শাব’ নামে মহিলাদের জন্য হাতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী পোশাকের জন্য ‘ওয়ার্ল্ড হাব অব হ্যান্ডিক্র্যাফ্ট’ হিসেবে খ্যাতিলাভ করে।


ইরানের তৈরি সিরামিকস, মৃৎশিল্পের পাত্র, হাতে বোনা কাপড় সেই সাথে ব্যক্তিগত মূল্যবান এবং আধা-মূল্যবান রত্নপাথরের অলঙ্কার ঐতিহ্যগতভাবেই ইরাক, আফগানিস্তান, জার্মানি, আামেরিকা, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হয়। সূত্র: তেহরান টাইমস।