মঙ্গলবার, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইরানের প্রাচীন মহাপ্রাচীরে প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযান শুরু

পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ২০, ২০১৭ 

news-image

ইরানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় গোলেস্তান প্রদেশের গোরগানে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে অবস্থিত ‘গ্রেট ওয়াল অব গোরগান’ বা গোরগানের মহাপ্রাচীর। সাসানি যুগে নির্মাণ করা হয়েছিল এই প্রতিরক্ষা প্রাচীরটি। যার পূর্ব নাম ছিল এস্কান্দার প্রাচীর।

বিশালাকার এই স্মৃতিস্তম্ভের প্রত্নতাত্ত্বিক নানা দিক উন্মোচনে  বিভিন্ন সময় গবেষণা কার্যক্রম চালিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সম্প্রতি এই প্রাচীরটিকে ঘিরে নতুন নতুন দিক উদঘাটনে সেখানে ১৭তম প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযান শরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইরানি প্রভাষক মোহাম্মাদ মোরতেজায়ির নেতৃত্বে প্রত্নতত্ত্ববিদ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল সেখানে নতুন জরিপ শুরু করেছেন। প্রাচীরটির অংশবিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে তারা এই জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছেন। রোববার মেহর নিউজ এজেন্সির খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গ্রেট ওয়াল অব গোরগান’ খ্রিস্টপূর্ব ৪২০ থেকে ৫৩০ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়। গোলেস্তান প্রদেশের গোরগানের নিকটে অবস্থিত কাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণপূর্ব অংশ সংলগ্ন এলাকায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে প্রাচীরটি নির্মাণ করা হয়।

গোরগানের আয়তন ১৬১৫ বর্গ কিলোমিটার। তুর্কমেনিস্তান সীমান্তের কাছেই অবস্থিত এই শহরটি। আগেকার দিনে গোরগান শহরের পাঁচটি প্রবেশদ্বার ছিল। শহর ঘিরে ছিল অনেক টাওয়ার। শহরের উত্তর দিকটায় ছিল এই প্রতিরক্ষা প্রাচীর। প্রাচীর জুড়ে ছিল মোট ৩৮টি দুর্গ। এটি ছিল মধ্য ইউরোপ ও চীনের মধ্যে দুর্গসজ্জিত দীর্ঘ প্রাচীরের প্রাচীন বাঁধ। যা একত্রে হাদরিয়ানের প্রাচীর ও অ্যান্তোনাইনের প্রাচীরের দৈর্ঘ্যর চেয়ে বড়। এখনো এই প্রাচীরটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়।

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশেষজ্ঞগণ প্রাচীর পথে যেসব টিলা ছিল সেগুলোর  ধ্বংসাবশেষ পর্যালোচনা করে বলেছেন, ঐ প্রাচীরের সুরক্ষা এবং শহরের সুরক্ষার লক্ষ্যে এখানে অনেক কেল্লাও গড়ে তোলা হয়েছিল। প্রাচীরটির দৈর্ঘ্য ছিল ২০০ কিলোমিটার। ইরানের সবচেয়ে দীর্ঘ প্রাচীর এটি। আর বিশ্বের ঐতিহাসিক প্রাচীরগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে এই প্রাচীর। বিশ্বের বাকি দুটি নামকরা প্রাচীর হলো চীনের প্রাচীর এবং জার্মান প্রাচীর। ঐতিহাসিক অনেক লেখায় এই প্রাচীরটিকে এস্কান্দার বাঁধ, আনুশিরভান বাঁধ, লাল সাপ ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়েছে।সূত্র: তেহরান টাইমস।