ইরানের তেল রপ্তানির ওপর  এযাবতকালের কঠিন অবরোধ সত্বেও বেড়েছে দেশটির পেট্রোক্যামিকেল পণ্য রপ্তানি। ইরানি মাস  অবানে (২১ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর) দক্ষিণ পারস গ্যাসক্ষেত্র থেকে পেট্রোপণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৩৯ শতাংশ।

এছাড়া নিষেধাজ্ঞা সত্বেও পারস এনার্জি স্পেশাল ইকনোমিক জোন থেকে তেলবহির্ভূত পণ্যসামগ্রী রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। ইরানি মাস অবানে আগের মাসের তুলনায় ৫শ মিলিয়নের অধিক মূল্যের তেলবহির্ভূত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা ওজনের দিক দিয়ে ৩৯ শতাংশ এবং মূল্যের দিক দিয়ে ৫ শতাংশ বেশি।  

ইরানের শিপিং, জাহাজের বিমা ও তেল ট্যাংকারগুলোর বিরুদ্ধে নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এতকিছুর পরও দেশটির তেলবহির্ভূত পণ্য বিশেষত পেট্রোক্যামিকেল পণ্য রপ্তানি থামাতে পারেনি আমেরিকা।

পারস এনার্জি স্পেশাল ইকনোমিক জোনের মহাপরিচালক আহমাদ পুরহেইদার বুধবার সংবাদ সংস্থা আইআরএনএকে দেয়া সাক্ষাতকারে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, উল্লিখিত সময়ে এই জোন থেকে ১৬ লাখ ২৬ হাজার ৪৫৮ টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে মিথেনল, প্রোপেন, বুটেন, লাইট এবং ভারী পলিথিন, অ্যামোনিয়া, সালফার, স্টাইরিন, অপরিশোধিত তেল ইত্যাদি। এই রপ্তানি থেকে দেশটির আয় হয়েছে ৫৭ কোটি ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫৪ ডলার। সূত্র: মেহর নিউজ এজেন্সি।