শুক্রবার, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইরানের পার্লামেন্ট কর্তৃক পাসকৃত মানবাধিকার বিষয়ক আইনের বিধানসমূহের সংক্ষিপ্ত সার

পোস্ট হয়েছে: জুন ২২, ২০১৬ 

ভূমিকা : আইন এমন এক নিরাপত্তা বলবৎকারী বাধ্যতামূলক দলিল যাতে ব্যক্তির অধিকার ও দায়িত্বসমূহ সংজ্ঞায়িত থাকে। অন্য কথায়, মানবসমাজের অধিকার রক্ষার জন্যই আইন তৈরি ও অনুমোদিত হয়ে থাকে। দায়িত্বের কথা উল্লেখ করার অর্থ হলো এ ধরনের অধিকারের ওপর এক প্রকার গুরুত্বারোপ যাতে এ সকল অধিকার যতটা সম্ভব কঠোরভাবে প্রতিপালন করা হয়। অল্প কথায় আইন হচ্ছে এমন এক দলিল যা ব্যক্তির বৈধ অধিকার নিশ্চিত করে। স্পষ্টতই ‘বৈধ কর্তৃত্বশালী’র পৃষ্ঠপোষকতায় আইনের অস্তিত্বের অর্থ এ নয় যে, ব্যক্তির অধিকার নিরাপদ হয়েছে- যার বিপরীতে বলা যায় যে, আইনবঞ্চিত সমাজ মানেই অসভ্য সমাজ।

বিভিন্ন শাসনব্যবস্থায় এমন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অধীনে প্রধানত সর্বস্তরের জনগণের বৈধ অধিকার রক্ষায় গঠিত আইন ও আইন প্রণয়নবিষয়ক বিধি-ব্যবস্থা থাকার পরও কি কারণে মানবাধিকার নামে আরেকটা শাখা চালু করা হল যা তাত্ত্বিক, গবেষক, রাজনীতিক এবং নাগরিকগণের ব্যাপক দৃষ্টি আকর্ষণ করল? এর অর্থ এই যে, আইন ও আইন প্রণয়ন সংস্থা উভয়ই তাদের কর্তব্যের ওপর যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি এবং নাগরিকগণের বৈধ অধিকারের প্রতি সরকারি স্বীকৃতি দানের উদ্দেশ্যেই এই নতুন শাখাটির প্রবর্তন করা হয়। নাকি অন্য কোন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এটা করা হয়েছে যা বিবেচনায় আনতে হবে?
যেসব কারণে মানবাধিকার নীতি ও ধারণাসমূহের উদ্ভব ঘটেছে সেগুলো যাচাই করতে হলে প্রয়োজন অধিকতর ব্যাপক ও গভীর বিশ্লেষণ। মানবাধিকারের সপক্ষে বিভিন্ন তত্ত্বগত ও আদর্শগত যুক্তি যা-ই থাকুক না কেন, এ বিষয়ের অধীনে উত্থাপিত প্রশ্নগুলো থেকে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না যে, এটি সেই সব মূল্যবোধের পক্ষে পুনঃপুন সমর্থন ব্যক্ত করতে চায় যেগুলো অনেকসময় জাতীয় সার্বভৌম সরকার কর্তৃক লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এভাবেই দেখা যায় অধিকতর সার্বভৌম সরকারসমূহ হঠকারিতা ও স্বৈরশাসন থেকে দূরে থেকেছে এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ব্যবস্থার অধীনে শাসনকার্য পরিচালনা করতে গিয়ে তারা ‘মানবাধিকার মানদ-সমূহ’ শিরোনামের অধীন মূল্যবোধগুলোর প্রতি অধিকতর সম্মান প্রদর্শন করে থাকে।
হঠকারি ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ব্যবস্থা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । প্রজাতান্ত্রিকতার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বে বিভিন্ন শাসনব্যবস্থা থাকলেও ইরানের শাসনব্যবস্থা অন্যান্য ব্যবস্থা থেকে সুস্পষ্টভাবে আলাদা। কেননা, এটি ইসলামের মহান ও পূতঃপবিত্র খোদায়ী বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিতÑ যা ধর্মীয় গণতন্ত্রের অধীনে শাসনব্যবস্থার একটা আদর্শ বা নমুনার প্রচলন করেছে। এমন একটা ব্যবস্থার অধীনে মানবাধিকারের সাথে যুক্ত মূল্যবোধসমূহের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধা করা হবে বলে স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা করা হয়ে থাকে। বিশেষত জাতীয় সার্বভৌম সরকার কর্তৃক। কেননা, পবিত্র ধর্ম ইসলামের মধ্যে রয়েছে এমন সুমহান বিশ্বাসসমূহ যেগুলো মানবাধিকার কর্তৃক গৃহীত মূল্যবোধগুলোর জন্য অধিকতর সম্মান ও মর্যাদা বিবেচনা করে থাকে। শাসনব্যবস্থার প্রজাতান্ত্রিকতার সাথে এমন বিশেষত্ব বা বৈশিষ্ট্য যুক্ত হওয়ার সাথে সাথেই মানবাধিকার মূল্যবোধসমূহের প্রতি এক অসাধারণ শ্রদ্ধাবোধের প্রকাশ ঘটে থাকে।
ফলস্বরূপ, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের আইন প্রণয়ন সংস্থা তথা ইসলামী সংসদের (মজলিস) ভূমিকা মানবাধিকার মানদ-সমূহের রক্ষায় অনেক বেশি উচ্চকিত ও দৃশ্যমান হয়। মানবাধিকারের ওপর এই আইন প্রণয়ন সংস্থা কর্তৃক গৃহীত যেকোন সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে মূলত ধর্মীয় কর্তব্য ও বিশ্বাসের প্রতি এর আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। বস্তুত এই সংস্থাটিই এ ব্যাপারে কোন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দানকালে প্রাসঙ্গিক ধর্মীয় নির্দেশের আইনগত বৈধতা প্রদান করে। এ সত্যটির আলোকে বলা যায়, জনগণের দ্বারা সত্যিকার অর্থে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে একজন আইন প্রণেতা নির্বাচকম-লীর বৈধ অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা ও সুনিশ্চিতকরণে তাঁর দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
এখানে সংক্ষেপে উল্লিখিত আইন এবং সংসদে পাসকৃত বিধিবিধান এবং তৎসঙ্গে পরীক্ষাধীন অন্যান্য বিষয়ের (বিল ইত্যাদি) সংগ্রহ বা সমাহার অংশত সেই সকল মানবাধিকার মানদ-ের প্রতি আইন প্রণেতাদের সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় যেগুলো কয়েক দশক আগে গৃহিত হয়েছে। ২০০৯ সালের মে মাসে ‘বেসামরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইরানী সরকারের যোগদানের অনুমতি দিয়ে সংসদে এক আইন অনুমোদিত হয়েছিল। এই আইন বলে বৈশ্বিক স্বাধীনতা, সুবিচার এবং শান্তির ওপর ভিত্তি করে মানবপরিবারের সকল সদস্যের জন্য স্বীকৃত হয় এক সমান ও হস্তান্তর অযোগ্য প্রাকৃতিক এবং আইনগত বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতা, যদিও আইন প্রণয়নের এই ক্ষেত্রটির সূচনা হয় বহু বছর আগে, তথা ১৯২১ সালে। নিচে কতকগুলো দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হলো যেগুলো এ কথারই সাক্ষ্য দেয় যে, আমাদের দেশ এক সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং সুমহান ধর্ম দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আধুনিক ধারণা অনুযায়ী মানবাধিকার মানদ-সমূহের সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। অবশ্য, একথা অনস্বীকার্য যে, একটা আদর্শ অবস্থায় পৌঁছতে আরো অনেক দূর যেতে হবে এবং এতে আইন প্রণেতাদের কঠোর পরিশ্রমেরও প্রয়োজন পড়বে।
এ প্রতিবেদনে ৮টি অধ্যায়ে বেশ কিছুসংখ্যক প্রামাণ্য দলিল সন্নিবেশিত হল। এই শ্রেণিকরণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সংবিধান : তৃতীয় অধ্যায় : জাতির অধিকার। বিপ্লবের মহান নেতা এ দলিলটিকে বর্ণনা করেন এভাবে : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সংবিধান ইরানী জাতির দাবি ও আদর্শসমূহের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে গণ্য। এটি ইসলামী ব্যবস্থার বিধিবিধান ও নীতিসমূহের সূত্রবদ্ধকরণে একটা সার্বিক কাঠামোর অধীনে জনগণের জন্য রয়েছে সার্বিক পথনির্দেশ। এ সংবিধানের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য হলো যে, এটি বিরাজমান পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে চলে এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজে নেয়। এ উদ্দেশ্যে এই সংবিধনে বিশেষজ্ঞগণের প্রাজ্ঞ মতামত গ্রহণের ব্যবহারিক ও বাস্তবসম্মত পন্থারও প্রচলন করেছে। আশা করা যায়, এ প্রতিবেদনটি পবিত্র ইসলাম ধর্ম ও সংবিধানের কাঠামোর ভিতর মানবাধিকার মানদ-সমূহের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনের ক্ষেত্রে সাড়া দেয়ার জন্য একটা যথোপযুক্ত ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারবে।

১.০ নারী ও পরিবারের অধিকার : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদ নারীদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে। অবশ্য আরো কিছু অনুচ্ছেদেও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য সুরক্ষামূলক বিধিবিধান রয়েছে। সাধারণভাবে সংবিধানের ৩টি অনুচ্ছেদে নারীরাই কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে রয়েছে। এগুলো হলো : অনুচ্ছেদ ২, ২০ ও ২১। আবার একই সাথে পরিবার হচ্ছে আরেকটি বিষয় যা ৪০টি অনুচ্ছেদে উল্লিখিত হয়েছে। যথা : অনুচ্ছেদ ১০, ২১, ৩১ ও ৪৩। অধিকন্তু বেশ কিছু সাধারণ আইনেও নারী অধিকার সুরক্ষায় কিছু কিছু আইন অনুমোদিত হয়েছে। এগুলো নিম্নরূপ :

১.১ পরিবার সুরক্ষা আইন (১৯৬৭ সালের ১৫ জুন অনুমোদিত) : ইসলামী বিপ্লব-পূর্ব আইন হলেও কিছু কিছু সংশোধনীসহ আইনটি আজও প্রয়োগযোগ্য বিবেচিত। এই আইনে তালাক প্রক্রিয়া চলাকালে নারীর সুরক্ষার প্রতি অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করে এমন কিছু ধারা সন্নিবেশিত আছে।

১.২ অভিভাবকহীন নারী ও শিশুদের ভরণপোষণ আইন: আইনটি ১৯৮৩ সালে অসমর্থিত হয় এবং পরবর্তীকালে ইরানের সংসদে আরো ব্যাপকভাবে সংশোধিত হয়ে ২০০২ সালের নভেম্বর অনুমোদিত হয় এবং অভিভাবক পরিষদের চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করে। ১০টি অনুচ্ছেদ এবং ৮টি নোট সম্বলিত আইনটিতে বিশেষ আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক এবং সেই সাথে কর্ম-সুরক্ষা ও কর্ম-সহায়তার বিধানসমূহ রয়েছে।

১.৩ বিশেষায়িত চিকিৎসা আবাস কোটা আইন : ১৯৯৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এই আইনের বিধান অনুযায়ী স্বাস্থ্য, রোগের চিকিৎসা ও চিকিৎসা শিক্ষায় নারীদের জন্য কমপক্ষে ২৫% ভাগ আবাসিক সুবিধা বরাদ্দ করবে। সেই সাথে শিক্ষার অন্যান্য শাখায় এই কোটা হবে ন্যূনতম ৫০% ভাগ।

১.৪ শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো এবং বুকের দুধ খাওয়ানোকালীন মায়েদের সুরক্ষা আইন : ১৩ মার্চ ১৯৯৬ সালে অনুমোদিত এবং পরবর্তী সংশোধনীসমূহ ১৩ মার্চ ১৯৯৬ ও ২৭ জুন ২০০৭ সালে অনুমোদিত। এই আইনের বিধান অনুযায়ী বুকের দুধ দানকারী মায়েদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে বিশেষত কর্মজীবী মায়েরা মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ কিছু কিছু বিশেষ সুবিধা ভোগ করে থাকে।

১.৫ সংবাদপত্র আইনের ধারা ও এর সাথে একটি অনুচ্ছেদ ও একটি নোট যুক্তকরণ আইন : ২২ আগস্ট ১৯৯৮ সালে আনুমোদিত। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নারী কিংবা পুরুষ যে-ই হোক, কারো ছবিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নারীর প্রতি অবমাননাকর এবং অসম্মানজনক আচরণ এবং অবৈধ বা বেআইনি প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়। এরূপ অপরাধীকে ইসলামী শাস্তি বিধানের ৬৯৮ ধারা মতে উপযুক্ত সাজা দেয়া হবে।

১.৬ নারী ও পরিবার সম্পর্কিত তৎপরতায় সহযোগিতামূলক চুক্তি আইন : ২০০৩ সালের ১৩ মে অনুমোদিত নারী ও পরিবারবিষয়ক তিউনিশীয় মন্ত্রীর আমন্ত্রণে ইরানী প্রেসিডেন্টের মহিলাবিষয়ক উপদেষ্টা এবং সেন্টার ফর উ্যমেন পার্টিসিপেইশন প্রধান কর্তৃক ১৬-২১ এপ্রিল ২০০০ তিউনিশিয়া সফরকালে এ দলিলটি স্বাক্ষরিত হয়। ৮টি বিষয় সম্বলিত দলিলটি পরিবারে ও পরিবার সংশ্লিষ্ট পরিবেশে নারীর তৎপরতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্কবিষয়ক একটি দলিল।

১.৭ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নারীর অধিকার ও দায়িত্ব সুরক্ষা আইন : ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে অনুমোদিত। এটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে নারীর অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কিত সনদের ওপর ভিত্তি করে আনীত আইনি প্রস্তাব। ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবটি সংসদে পাশ হয়। আইনটি দ্বারা হাই কাউন্সিল অব কালচারাল রেভল্যূশন সরকারকে বাধ্যতামূলকভাবে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নারীরা যাতে কার্যত তাদের ন্যায্য অধিকার ও দায়িত্ব লাভ করতে পারে সে ব্যাপারে সরকারকে সংবিধানের ২০ ও ২১ ধারার অধীনে এবং সেই সঙ্গে ফরোয়ার্ড-লুকিং ডকুমেন্ট-এর আলোকে সহায়তা দানের দায়িত্ব প্রদান করে।

১.৮ পঙ্গু ও নারীপ্রধান পরিবারসমূহকে স্টেট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেইশন কর্তৃক ক্রমবর্ধমান হারে পুনর্বাসন ও সুরক্ষাদান আইন : ২০০৮ সালের ২৬ জুন অনুমোদিত। এ আইনের বিধান অনুযায়ী সরকারকে কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়েছে যাতে তারা এক লক্ষ পঙ্গু ও ৩০ হাজার নারীপ্রধান পরিবারকে ক্রমান্বয়ে সেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা কার্যক্রম হাতে নিতে পারে।

১.৯ দেওয়ানি আইন আংশিক সংশোধন আইন : ২০০৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অনুমোদিত। এই আইন
অনুযায়ী দেওয়ানি আইনের ৯৪৬ এবং ৯৪৮ নং ধারা এমনভাবে সংশোধন করা হয় যাতে স্ত্রী স্থাবর সম্পত্তি ছাড়াও ভবন ও জায়গা জমিসহ অস্থাবর সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারে।

[চলবে]
অনুবাদ : মিয়া আবদুল আউয়াল