ইরানের পার্লামেন্টে বহুল আলোচিত সিএফটি বিল পাস
পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ৮, ২০১৮

ইরানের পার্লামেন্ট সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার বহুল আলোচিত বিল পাস করেছে। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ-এর পক্ষ থেকে দেয়া শর্ত পূরণের লক্ষ্যে রোববার ইরানের পার্লামেন্ট মজলিসে শুরায় ১৪৩-১২০ ভোটের ব্যবধানে এটি পাস হয়।
কমব্যাটিং দ্যা ফাইন্যান্সিং অব টেররিজম বা সিএফটি নামের বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার জন্য এখন অভিভাবক পরিষদে এটির অনুমোদন লাগবে। পার্লামেন্টে পাস হওয়া কোনো বিল ইরানের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা তা তদারকি করে অভিভাবক পরিষদ।
প্যারিস-ভিত্তিক এফএটিএফ পুঁজি বিনিয়োগের কালো তালিকা থেকে ইরানের নাম বাদ দেয়ার লক্ষ্যে গত জুন মাসে সিএফটি পাস করার জন্য ইরানকে চলতি অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিল।
এফএটিএফ কোনো দেশের বিরুদ্ধে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে না। কিন্তু এটির সদস্য দেশগুলো এফএটিএফের পরামর্শের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। ইরান এর আগে এফএটিএফের পরামর্শক্রমে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছিল।
ইরান এর আগে সিএফটি বাস্তবায়ন করলেও এর সবগুলো ধারা এবং অতিরিক্ত প্রটোকল বাস্তবায়ন করেনি। ইরানের অভ্যন্তরে এফএটিএফের সমর্থকরা সিএফটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এর সমালোচকরা বলে আসছিলেন, এফএটিএফের সব শর্ত মেনে এটির সদস্য হলে ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের সুযোগ খুলে যাবে। তারা আরে বলছেন, এর আগে ইরান এফএটিএফের মানদণ্ডগুলো বাস্তবায়ন করলেও বিদেশি পুঁজি আকর্ষণে ব্যর্থ হয়েছে তেহরান।
রোববার ইরানের পার্লামেন্টে পূর্ণাঙ্গ সিএফপি বাস্তবায়নের বিল নিয়ে ভোটাভুটির আগে এর বিরোধিতাকারী সাংসদদের উদ্দেশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেন, এটি পাস না করলে তেহরানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আমেরিকার হাতে অজুহাত তুলে দেয়া হবে।পার্সটুডে।