মঙ্গলবার, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইরানের পর্বতমালার বধু অপরূপ জীববৈচিত্র্যের সাহান্দ

পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০ 

news-image

উত্তর পশ্চিম ইরানের একটি আগ্নেয় চূড়া ও পর্বতমালা সাহান্দ। এখানে রয়েছে ৩ হাজার ৭শ মিটার উচ্চতার ১৭টি চূড়া। দৃশ্যমান কারণেই এটি ইরানের পর্বতমালার বধূ হিসেবে পরিচিত। নানা উদ্ভিদ প্রজাতি, তৃণভূমি, ফুলের বাগান আর চারণভূমিতে সুশোভিত এই পার্বত্য অঞ্চলটি।

উদ্ভিদ প্রজাতি

সাহান্দ সংরক্ষিত অঞ্চলে ১৫৬টি উদ্ভিদ প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৬টি প্রজাতি হচ্ছে স্থানীয়। একেবারে চূড়ায় অ্যাস্ট্রাগালাস, অ্যাকানথোলিমন, ইউফোরবিয়া ইত্যাদি উদ্ভিদ প্রজাতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সাধারণত বুনো ছাগলের শীতকালীন আবাসস্থল হিসেবে অঞ্চলটি ব্যবহৃত হয়।

পর্বতমালাটিতে শীতকালে অত্যন্ত ঠাণ্ডা বিরাজ করে এবং ভারী কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকে। ফলে এইসময় গাছপালা খুব একটা বড় হয় না।

বন্যপ্রাণী প্রজাতি

সাহান্দ সংরক্ষিত এলাকার উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী প্রজাতি হচ্ছে আর্মেনিয়ান মাফলন, ক্যারাকাল, বাদামি ভালুক, চিতা, বন্য বিড়াল, নেজেল, নেকড়ে, শিয়াল, বাদুড় এবং বিভিন্ন ধরনের ইঁদুর।

১৩৯৪ ফারসি সালের (মার্চ ২০১৫ থেকে মার্চ ২০১৬) সর্বশেষ শুমারি মতে, ওই অঞ্চলে বন্যছাগলের সংখ্যা ৫ শতাধিক।

সাহান্দে ১৮৫টি দেশীয় প্রজাতির বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। এছাড়া এখানে গোল্ডেন ঈগল, কিট, শকুন, সাধারণ বাজার্ড, মন্টাগুর বাহক, ক্যাসট্রেল, হবি এবং সকার ফ্যালকন প্রভৃতি অভিবাসী পাখির আনাগোনা ঘটে।

জলবায়ু বৈশিষ্ট্য

সাহান্দ পর্বত অঞ্চলের জলবায়ু ঠাণ্ডা। এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বছরে ৩০০ থেকে ৬০০ মিলি মিটারের মধ্যে। এসব অঞ্চলের আবহাওয়ার প্রধান বৈশিষ্ট্য হালকা গ্রীষ্ম এবং দীর্ঘ ঠাণ্ডার শীতকাল।

সাহান্দ আগ্নেয় পর্বতের অস্তিত্বের কারণে আবহাওয়াবিদরা সাহান্দের জলবায়ু ও ভূখণ্ড নিয়ে কয়েকটি মত প্রকাশ করেছেন।

শিকার-নিষিদ্ধ এলাকা সাহান্দ

অঞ্চলটি বন্যপ্রাণী প্রজাতি ও জলজপ্রাণীর কাঙ্ক্ষিত আবাসস্থলের দিক দিয়ে খুবই গুরুত্ব বহন করে। এছাড়াও অঞ্চলটিকে ঘিরে রয়েছে অপার বিনোদন সম্ভাবনা। পানি সম্পদ ও বিশালতার প্রাচুর্যের কারণে স্থানটির মূল্য ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি।

বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণে সাহান্দ শিকার-নিষিদ্ধ অঞ্চল ২০০০ সাল থেকে সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হয়। সূত্র: তেহরান টাইমস।