শুক্রবার, ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইরানের নয়নাভিরাম কেশম দ্বীপে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ

পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ১৫, ২০১৮ 

news-image

ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হরমুযগান প্রদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ কেশমে এখন থেকে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে পারবেন বিশ্বের ১৮০ দেশের পর্যটকরা।  বিদেশি কোনো পর্যটক নীলাভ সাগরের কোলে জেগে ওঠা দ্বীপটিতে ঘুরতে চাইলে ভ্রমণের আগে ভিসার আবেদন করার প্রয়োজন নেই।  ইরানের উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান ঘাশঘাভি এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘কেশম এয়ারপোর্টে ইলেকট্রিক ভিসা ইস্যুর অফিস খোলা হয়েছে।  বিশ্বের ১৮০ দেশের নাগরিকরা ইরানে পৌঁছার পর কেশম এয়ারপোর্টে তারা তাদের পাসপোর্ট জমা দেবেন।  পাসপোর্ট জমা দেওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই তাদের ভিসা দেওয়া হবে।

বুধবার বিমানবন্দরে ভিসা ইস্যু অফিস উদ্বোনের অনুষ্ঠানে ইরানের সিনিয়র এই কূটনীতিক এই তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, বিদেশি পর্যটকরা ভিসার অতিরিক্ত সময় ইরানে অবস্থান করতে চাইলে একই অফিসে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।  এক্ষেত্রে তাদের দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিস যাওয়ার কোনো প্রয়োজন হবে না।

তিনি বলেন, বিদেশি নাগরিকরা ইরানি মিশনে সশরীরে উপস্থিত হওয়া ছাড়াই ইন্টারনেটে পর্যটন ভিসার আবেদন করতে পারবেন।  প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর তাদের নিজ নিজ সেল ফোনে কোড পাঠানো হবে।

কেশম দ্বীপটি কেবল হরমুযগান প্রদেশেরই নয় বরং সমগ্র পারস্য উপসাগরীয় দ্বীপগুলোর অন্যতম বিশাল দ্বীপ। হরমুয প্রণালীর উৎসমুখে এই দ্বীপটির অবস্থান। দ্বীপের আয়তন দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি। এই দ্বীপের প্রস্তরময় উপকূল প্রায় দুইশ’ দুই কিলোমিটার দীর্ঘ।  কেশম দ্বীপের আয়তন সিঙ্গাপুর বা বাহরাইনের তুলনায় আড়াই গুণ বড়। দৈর্ঘ্যে ১২০ কিলোমিটার আর প্রস্থে স্থানবিশেষে ১০ থেকে পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার। এই দ্বীপে বেশ কয়েটি টিলাও আছে। তবে এসব টিলার উচ্চতা বেশি নয়। সবচেয়ে উচুঁ টিলাটির উচ্চতা হলো সাড়ে তিনশ’ মিটার।  এখানে প্রায় পঞ্চান্ন হাজার মানুস বসবাস করে। এদের সবাই মুসলমান। এরা ফারসি ভাষার পাশাপাশি তাদের আঞ্চলিক ভাষাতেও কথা বলে।

গত বছরের মে মাসে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব জিওপার্ক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে দ্বীপটি। চার বছর মেয়াদের জন্য দ্বীপটিকে ইউনেস্কো গ্লোবাল জিওপার্ক তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।  সূত্র: মেহর নিউজ এজেন্সি।