ইরানের ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার বার্ষিকী উপলক্ষে শুরু হয়েছে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি। ১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইসলামি বিপ্লব সফল হয়। বিপ্লব চূড়ান্তভাবে সফল হওয়ার আগের গুরুত্বপূর্ণ এই দশ দিন (১ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি) ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের দশ শুভ শ্বেত প্রভাত ( দাহেয়ে ফাজর-ই মুবারক) নামে পরিচিত।

ইসলামি বিপ্লবের ৪৩তম বিজয় বার্ষিকীকে সামনে রেখে অসংখ্য বন্দর উন্নয়ন, সামুদ্রিক এবং পরিবহন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে ইরান জুড়ে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গেল রোববার এক ভিডিও কনফারেন্সে সারা দেশে ১৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সহ ৪৮টি বড় শিল্প প্রকল্প শুরু করার নির্দেশ দেন। উল্লিখিত প্রকল্পগুলো ১৩টি বিভিন্ন প্রদেশের ২৭টি শহরে বাস্তবায়িত হতে চলেছে৷

তেহরান টাইমসের খবরে বলা হয়, ইসলামি বিপ্লবের এবারের ৪৩তম বার্ষিকী দশ প্রভাতে ( ১ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী  ৬২৬ ট্রিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার) মূল্যের প্রায় ৪৬৮টি শিল্প ও খনি প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। ইরানের শিল্প, খনি, এবং বাণিজ্য উপমন্ত্রী মেহেদি নিয়াজির তথ্যমতে, উল্লিখিত প্রকল্পগুলো সারা দেশে ২২ হাজার ৮শ জনের অধিক লোকের জন্য সরাসরি কাজের সুযোগ তৈরি করতে চলেছে।

প্রকল্পগুলোার বেশিরভাগ পূর্ব আজারবাইজান, খোরাসান রাজাভি, ইয়াজদ এবং আলবোর্জ প্রদেশে উদ্বোধন করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্ত।

এছাড়া এদিন অসংখ্য বন্দর উন্নয়ন, সামুদ্রিক এবং পরিবহন প্রকল্পের উদ্বোধন করার পরিকল্পনা করছে। বার্তা সংস্থা ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়, উল্লিখিত প্রকল্পগুলো মধ্যে রয়েছে মোট ৬০ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন রিয়াল বিনিয়োগ সহ ৪৮৪টি পরিবহন প্রকল্প, ২৬ দশমিক ৭২ ট্রিলিয়ন রিয়াল মূল্যের ৫৩টি রেল প্রকল্প এবং ৬ দশমিক ৮ট্রিলিয়ন মূল্যের ১৯টি সামুদ্রিক ও বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প।

পরিবহন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে তেহরান, খোরাসান রাজাভি, সিস্তান-বেলুচেস্তান, লোরেস্তান এবং হরমোজগান প্রদেশের কিছু বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প।

এছাড়া ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের ৪৩তম বার্ষিকীতে পরিবহন ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ৭৫০ বিলিয়ন রিয়াল মূল্যের ছয়টি আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রকল্পও উদ্বোধন করতে যাচ্ছে।