ইরানের তাৎপর্যপূর্ণ জীবজগৎ সংরক্ষিত অঞ্চল মিয়ানকালে
পোস্ট হয়েছে: জুলাই ২, ২০২৩
![news-image](https://www.iranmirrorbd.com/wp-content/uploads/2023/08/4577588-20230702205039.jpg)
ইরানের উত্তর মাজানদারান প্রদেশের দৃষ্টিনন্দন মিয়ানকালে জলাভূমি। জীবজগৎ সংরক্ষিত অঞ্চলটি দেশটির বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং উচ্চ পরিবেশগত ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত। মিয়ানকালে উপদ্বীপের একটি দ্বীপের নাম আশুরাদে।
দীর্ঘ এবং সংকীর্ণ উপদ্বীপটি ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১ দশমিক ৩ থেকে ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার প্রশস্ত। এটি কাসপিয়ান সাগর থেকে গর্গান উপসাগরকে আলাদা করেছে। উপদ্বীপে আশুরাদে, কেজেল-ই শোমালি, কেজেল-মেহেদি এবং কাভাসাটল নামে চারটি গ্রাম অবস্থিত।
প্রধান প্রধান আবাসস্থলগুলির মধ্যে রয়েছে জলাভূমি, বালুকাময় উপকূল সহ আন্তঃ-জোয়ার কাদা, অগভীর সামুদ্রিক পানি, বন, পিটল্যান্ড এবং কৃষি এলাকা।
জীবজগৎ সংরক্ষিত এই অঞ্চলটি স্থানীয় অনন্য কাসপিয়ান পাখি এবং সরীসৃপ প্রজাতির আবাসস্থল। এটি পরিযায়ী পাখিদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আশ্রয়স্থল।
দ্বীপের প্রাণীজগতের মধ্যে রয়েছে শিয়াল, বনবিড়াল, শূকর, বন্য ঘোড়া এবং অন্যান্য প্রাণী। স্যামন এবং স্টারি স্টার্জনের মতো জলজ প্রাণী, সেইসাথে দেশীয় এবং পরিযায়ী পাখি যেমন তিতির, সাদা ও কালো গিজ, ফ্ল্যামিঙ্গো এবং পেলিকানরাও এই পরিবেশকে সুন্দর্যমণ্ডিত করেছে । রাস্পবেরি ঝোপ এবং তিক্ত ডালিম গাছপালা সহ আরও কিছু জাতের গাছপালা নিয়ে আশুরাদের বনাঞ্চল গড়ে উঠেছে।
তবে উপদ্বীপের পানির ঘাটতি, অতিরিক্ত অব্যবস্থাপনা, টেকসই কৃষি পদ্ধতি এবং কূপ ও ভূগর্ভস্থ পানির সম্পদের মারাত্মক অবক্ষয় মিয়ানকালে উপদ্বীপের অবস্থাকে আরও খারাপ করেছে।
স্থানীয় জনগণ কৃষি, উদ্যানপালন, পশুপালন, হস্তশিল্প, কার্পেট বুনন, ঐতিহ্যবাহী হাঁস-মুরগি পালন এবং পর্যটন থেকে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
অত্যধিক চারণ, অবৈধ শিকার, মাছ ধরা, বন উজাড় এবং গ্রামের অপরিকল্পিত বিস্তার এই অঞ্চলের পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ কিছু চ্যালেঞ্জ। সূত্র: তেহরান টাইমস