ইরানের ‘জামি আত তাওয়ারিখ’ ঐতিহাসিক দলিল: ইউনেস্কো
পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ২, ২০১৭
![news-image](https://www.iranmirrorbd.com/wp-content/uploads/2017/11/4bn2d4a8285122x2a7_800C450.jpg)
ইরানের ‘জামি আত তাওয়ারিখ’ গ্রন্থকে বিশ্বের ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় সোমবার সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) ইরিনা বোকোভা এই ঘোষণা দেন। গত ২৪-২৭ অক্টোবর পর্যন্ত বৈঠক করে বিশ্বের ৭৮টি নতুন বিষয় ও ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনেসকোর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি (আইএসি)।
আইএসির এই কমিটিতে ছিলেন ১৫ জন বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব করা ঐতিহাসিক দলিল পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করেন। দুই বছরের প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬-১৭ সালের জন্য দলিলগুলোকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এ তালিকায় ৪৩ নম্বরে পারস্যে মোঙ্গল ইলখানাতে লিখিত সাহিত্য ও ইতিহাস গ্রন্থ ‘জামি আত তাওয়ারিখ’কে স্থান দেওয়া হয়েছে। গ্রন্থটির লেখক রশিদউদ্দিন হামাদানি (১২৪৭–১৩১৮) ১৪ শতাব্দীর শুরুতে এটি রচনা করেন।
ব্যাপ্তির কারণে একে “প্রথম বিশ্ব ইতিহাস” বলা হয়। গ্রন্থটির তিনটি খণ্ড ছিল। এর ফারসি, আরবি ও মোঙ্গল সংস্করণ রয়েছে। এতে রয়েছে ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলির বিবরণ।
গ্রন্থের জাঁকজমকপূর্ণ চিত্রাঙ্কন ও হস্তলিপিতে কয়েকশ’ লিপিকার ও শিল্পীর প্রয়োজন ছিল। প্রায় ২০টি চিত্রায়িত কপি রশিদউদ্দিনের জীবদ্দশায় প্রস্তুত করা হয়েছিল। এটির একটি কপি বর্তমানে ইরানের গুলেস্তান প্রাসাদের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত রয়েছে। দুই বছর আগে এ সংক্রান্ত দলিলাদি ইউনেস্কোর আইএসি কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়। ওই কমিটি কারিগরি দিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে গ্রন্থটিকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এ নিয়ে ফেরদৌসির ‘শাহনামা’সহ ইরানের ১০টি গ্রন্থ ও ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো।
‘জামি আত তাওয়ারিখ’ গ্রন্থের একটি কপি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে রয়েছে। ইস্তাম্বুলের তোপকাপি প্রাসাদের গ্রন্থাগারে প্রথম যুগের দুটি ফারসি পাণ্ডুলিপি রয়েছে।-পার্সটুডে।