ইরানের জন্য মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাবে রাশিয়া
পোস্ট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
![news-image](https://www.iranmirrorbd.com/wp-content/uploads/2016/02/4bk214f9496ab946pa_620C350-2.jpg)
আগামী দুই বছরের মধ্যে ইরানের জন্য মহাকাশে একটি উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা পাঠাবে রাশিয়া। দেশটির স্পেস মনিটরিং সিস্টেমের প্রধান লিওনিদ ম্যাক্রদেঙ্কো বুধবার জানিয়েছেন, “আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে আমরা ইরানের সঙ্গে উপগ্রহণ উৎক্ষেপণের ব্যাপারে একটি চুক্তি সই করার আশা রাখছি। এ সময়ের মধ্যে চুক্তি সই হলে ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ এটি উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে।”
২০১৫ সালের আগস্টে মস্কোয় অনুষ্ঠিত রাশিয়ার ১২তম আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ও মহাকাশ বিষয়ক মেলায় তেহরান ও মস্কোর মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রাথমিক আলোচনা হয়। সে সময় ইরানের অন্যতম গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বোনিয়ান দানেশ শার্ক’ রাশিয়ার তিনটি কোম্পানির সঙ্গে একটি উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা নির্মাণের লক্ষ্যে প্রাথমিক সমঝোতাপত্র সই করে।
রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি রোগোজিন ও ফেডারেল স্পেস এজেন্সির পরিচালক ইগোর কোমারভের উপস্থিতিতে ওই সমঝোতাপত্র সই হয়। সমঝোতা অনুযায়ী রাশিয়ার তিনটি কোম্পানি ইরানের প্রতিষ্ঠানটিকে একটি দূর-নিয়ন্ত্রিত উপগ্রহ ব্যবস্থা তৈরিতে সাহায্য করবে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠ, বায়ুমণ্ডল ও সাগর-মহাসাগরের সব তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। সমঝোতা অনুযায়ী এ ব্যবস্থা পরিচালনার মূল প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে বোনিয়ান দানেশ শার্ক। উপগ্রহ ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ভূমিতে অবস্থিত ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করে দেবে রাশিয়ার এনপিকে বিএআরএল কোম্পানি।
এ ছাড়া, কৃত্রিম উপগ্রহণ নির্মাণ ও তা নিক্ষেপের দায়িত্ব পালন করবে রাশিয়ার ভিএনআইআইইএম কোম্পানি। রাশিয়ার সোইয়ুজ রকেটের সাহায্যে উপগ্রহটিকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হবে।
গত কয়েক বছরে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বেশ কয়েকটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে ইরান। শান্তিপূর্ণ কাজে মহাকাশকে ব্যবহারের লক্ষ্যে জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৫৯ সালে যে আন্তর্জাতিক কমিটি গঠন করা হয় তার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইরান। সূত্র: আইআরআইবি