ইরানের খসরোওশাহি উবারের নতুন সিইও
পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ৩০, ২০১৭

দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নতুন প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে ইরানের দারা খসরোওশাহি-কে নির্বাচন করেছে স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) নির্ভর ট্যাক্সি পরিবহনসেবা উবার। এর মাধ্যমে কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা প্রধান নির্বাহী খোঁজার প্রক্রিয়ায় ইতি টানল প্রতিষ্ঠানটি।
খসরোওশাহি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন স্পষ্টভাষী সমালোচক এবং ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তিনি জোর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। আর তার ওপর লড়াকু এ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ভার এমন সময় দেয়া হচ্ছে যখন উবারের সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্তের শিকার। বর্তমানে উবার বিনিয়োগকারীদের মাঝে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা, কর্মচারীদের মাঝে নৈতিকতা আনয়ন ও সাত বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠে লাভজনক ব্যবসায় পরিগণিত করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও খসরোওশাহি ২০০৫ সাল থেকে টানা ১২ বছর অনলাইন ভ্রমণ প্রতিষ্ঠান এক্সপেডিয়া’র প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করছেন। প্রবৃদ্ধি জোরদার ও ব্যবসাকে লাভজনক করার ক্ষেত্রে তার উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। এক্সপেডিয়া’র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন তিনি অনলাইন ভ্রমণসেবা এজেন্সির জগতে তার প্রতিষ্ঠানকে শীর্ষে নিয়ে আসতে সক্ষম হন।
৪৮ বছর বয়সী এই ইরানি নাগরিক শিশু অবস্থায় ১৯৭৮ সালে বাবা-মার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন। তিনি ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। রয়টার্সের তথ্যমতে, উবারের প্রধান হিসেবে যেসব প্রার্থীর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল তার মধ্যে ছিলেন না খসরোওশাহি।
গত রোববার এক বৈঠকে উবার-এর নির্বাহী বোর্ড তাকে সিইও হিসেবে নিয়োগ দেয়ার এই সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া না হলেও বিষয়টি বিবিসি-কে নিশ্চিত করেছে এক সূত্র।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে নানা রকমের সমালোচনার মধ্য দিয়ে গেছে উবার। চলতি বছরের জুন মাসে শেয়ারধারীদের চাপে পদত্যাগ করেন উবারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ট্রাভিস কালানিক। প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি, পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতি এবং জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠান ছাড়ায় শেয়ারধারীদের চাপে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর থেকেই নতুন প্রধানের খোঁজ করতে নিয়মিত বৈঠক করে আসছিলেন উবার-এর বোর্ড সদস্যরা। নতুন প্রধানের তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তারা।
সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল ট্রিবিউন।