ইরানের কয়লা শিল্পে ব্যাপক সম্ভাবনা
পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
ব্যাপক সম্ভাবনা সত্বেও দীর্ঘদিন ধরেই অব্যবহৃত রয়েছে ইরানের কয়লা শিল্প। এই শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো গেলে তা নেতৃত্ব দিতে পারে দেশটির খনি খাতের, বৃদ্ধি করতে পারে জ্বালানি উৎপাদন। এতে তৈরি হবে অতি প্রয়োজনীয় সব কর্মসংস্থান। কয়লা শিল্পের এই অব্যবহৃত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশটির ছয় বছরের (২০১৭-২২) উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব বলে জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
মিডল ইস্ট মাইনস অ্যান্ড মাইনিং ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলমেন্টে হোল্ডিং কোম্পানির উপপ্রধান আলি পালিজদার অর্থনীতি বিষয়ক সাপ্তাহিক তেজারাত-ই ফারদা’য় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ইরান বর্তমানে বছরে মাত্র ১১ লাখ টন কয়লা উৎপাদন করে। যেখানে দেশটির কয়লার প্রমাণিত মজুদ রয়েছে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন টনের।
পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎপাদনে কয়লা শিল্পের উন্নয়ন নিয়ে বিশ্বে ব্যাপকভাবে কাজ শুরু হয়েছে। গোটা বিশ্বেই এখন জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিনিয়োগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে।
এদিকে, ইন্টারন্যাশনাল অ্যানার্জি এজেন্সির (আইইএ) ২০১৭ সালের তথ্যচিত্রে প্রাকৃতিক সম্পদের ভিন্ন এক সম্ভাবনা দেখা গেছে। এতে বলা হয়, বিশ্বে অন্তত আগামী তিন দশকের জন্য জ্বালানি সম্পদের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে জীবাশ্ম জ্বালানি।
আইইএ ভবিষ্যদ্বানী করেছে, ২০৪০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে ১০ শতাংশ। কয়লার স্থিতিস্থাপকতার পরীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১১-১৫ সালে রান্নার কয়লা উৎপাদন বেড়েছে ১২ শতাংশ।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বড় দেশ ক্রমবর্ধমান হারে কয়লা খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করছে, যেসব দেশে তেল ও গ্যাসের ব্যাপক মজুদ রয়েছে। বিশ্বে ৪০ ভাগ বিদ্যুত কয়লা থেকে উৎপাদিত হয়। কয়লা উৎপাদনকারী দেশগুলো প্রতি বছরে তাদের মজুদের মাত্র দশমিক ৮ শতাংশ ব্যবহার করে থাকে।
ইরানের ছয় বছরের পরিকল্পনায় শেষ বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৮ শতাংশ। এ বছর দেশটির বেকারত্ব ১২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়াবে। ইরানের এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে খনি খাতে প্রতিবছর কমপক্ষে ৫ হাজার করে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। বর্তমানে এই খাতে সরাসরি ১ লাখ শ্রমিক জড়িত। অর্থাৎ ২০২২ সালের মধ্যে মোট ২৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে এ খাতে।
সূত্র: ফিনানসিয়াল ট্রিবিউন।