ইরানের ঐতিহ্যবাহী কাঁচপণ্যের ইতিহাস
পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ৮, ২০২৪

ইরানে হাতে তৈরি কাঁচের পণ্যসামগ্রীর একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ থেকে জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ বছর আগ থেকে দেশটিতে এই শিল্পের যাত্রা শুরু হয়।
ভিজিট ইরান ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমেতে, দেশটির বিভিন্ন স্থান যেমন ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ছোঘা জানবিল, সুসা, পার্সেপোলিস এবং লোরেস্তানের অঞ্চলগুলি থেকে আবিষ্কৃত কাঁচের সামগ্রী প্রাচীনকালের এই ঐতিহ্যের প্রমাণ বহন করে।
বর্তমানে ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ যেখানে কাচের পণ্য তৈরি এবং উৎপাদনের জন্য সক্রিয় কর্মশালা এখনও বিদ্যমান তা হলো তেহরান।
ঐতিহ্যবাহী কাচ তৈরির বিভিন্ন পদ্ধতির তিনটি উপায় হলো: ফুঁ দেওয়া, ছাঁচ-বোলিং এবং চাপ দেওয়া। প্রথমে ব্লোয়িং টেকনিক (ফ্রি-ব্লোয়িং) দিয়ে কাচ তৈরি করতে কাচের কাঁচামাল (যা বেশিরভাগ কাচের কণা) গলানোর জন্য চুল্লিতে ঢেলে দেওয়া হয়।
পুরোপুরি গলিত হওয়ার পর পাত্রটি ঘোরানোর সময় গলিত কাঁচে ড্যাম নামের একটি ব্লোপাইপ ভিজিয়ে রাখা হয়। শ্রমিকরা গলিত কাচের একটি ছোট অংশ নিয়ে বাঁধের মধ্যে বোলিং করে, যাকে এখন বার বলা হয়। সূত্র: তেহরান টাইমস