বৃহস্পতিবার, ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইরানের ঐতিহাসিক সাইয়্যেদ মসজিদ

পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ১১, ২০১৫ 

news-image

সাইয়্যেদ মসজিদ। বেশ প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক একটি মসজিদ। যানজন প্রদেশের রাজধানী যানজন শহরের ঐতিহাসিক দিক থেকে মূল্যবান নিদর্শনগুলোর একটি হলো এই সাইয়্যেদ মসজিদ।

مجموعه-سید-زنجان১৮২৬ খ্রিষ্টাব্দে ফতেহ আলি শাহ কাজারের শাসনামলে এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। এই মসজিদটি যিনি নির্মাণ করেছিলেন তাঁর জীবিতাবস্থায় মসজিদটি বহু নামে পরিচিত ছিল। যেমন মসজিদে দারা, মসজিদে সাইয়্যেদ, মসজিদে সুলতানি এবং এমনকি মসজিদে জুমা নামেও ডাকা হত।
যানজনের মসজিদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর এবং বড় স্থাপনা হিসেবে এই সাইয়্যেদ মসজিদ কমপ্লেক্সের অনন্য ঐতিহাসিকতা সর্বজনবিদিত।এর আঙিনার চারপাশে রয়েছে ঝুলন্ত বারান্দা।

আঙিনাটি লম্বায় ৪৮ মিটার আর প্রস্থে ৩৬ মিটার। আয়তক্ষেত্র আকারের খোলা আঙিনাটি মসজিদের অন্যতম আকর্ষণ।আঙিনার চারকোণে ঝুলবারান্দার নীচে রয়েছে চারটি রুম। এসব রুমে দীনি মাদ্রাসার ছাত্রদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঝুলবারান্দার ভেতর এবং বাইরের দেয়ালে চমৎকার সব কারুকাজ করা হয়েছে।

معماری-مسجد-جامع-زنجانপুরো বারান্দাতেই রয়েছে টাইলসের কারুকাজ। তার উপর এবং নীচে রয়েছে বিচিত্র ক্যালিগ্রাফি। বিচিত্র রঙের সাহায্যে কুফি এবং সোলস ফন্টে করা কুরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফিগুলো যেমন দৃষ্টিনন্দন তেমনি হৃদয়গ্রাহী।

ফিরোজা রঙের টাইলস দিয়ে সূরা আদ-দাহরের ক্যালিগ্রাফি করা হয়েছে। সোলস লিপিতে পবিত্র এই সূরার ক্যালিগ্রাফি মসজিদের গম্বুজটাকে সৌন্দর্যের পাশাপাশি দিয়েছে অন্যরকম মর্যাদা।