ইরানের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ১২.৫ শতাংশ
পোস্ট হয়েছে: জুন ২০, ২০১৭

বিগত বছরের তুলনায় ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত ফারসি বছরে ইরানের আর্থিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। রোববার ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (সিবিআই) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে এ চিত্র জানা গেছে।
মূলত ইরানের ক্রমবর্ধমান তেল উৎপাদন দেশটির এমন শক্তিশালী প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলের নেয়ার প্রেক্ষিতে এই শক্তিশালী জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করলো দেশটি।
ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, তেল উৎপাদনের হিসাব ছাড়া জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। গত বছর তেল খাত প্রবৃদ্ধিতে নাটকীয়ভাবে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ অবদান রেখেছে।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে বিশ্বের ক্ষমতাশীল রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইরানের ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর চুক্তির অংশ হিসেবে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। বিনিময়ে তেহরান তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়।
ইরানের সরকারি উপাত্ত থেকে দেখা গেছে, গত অর্থবছরের শেষ নাগাদ প্রতিদিন দেশটিতে অপরিশোধিত তেল উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৮ লাখ ব্যারেল। যেখানে আগের বছর প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হয়।
অবরোধকালীন প্রতিদিন অপরিশোধিত তেল উৎপাদন হতো ২৫ লাখ ব্যারেল। এশিয়ার কিছু সংখ্যক ক্রেতা দেশের কাছে মাত্র ১০ লাখ ব্যারেল তেল রফতানি সীমাবদ্ধ ছিল।
বর্তমানে গড়ে ইরান প্রতিদিন ৪ লাখ ব্যারেল বা ৬ কোটি ৪০ লাখ লিটার তেল রফতানি করে থাকে।
সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল ট্রিবিউন।