ইরানের আবহাওয়া
পোস্ট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৩
![news-image](https://www.iranmirrorbd.com/wp-content/uploads/2013/02/weather-image-of-iran.jpg)
যদিও ইরান বিস্ময়কর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অধিকারী এবং এখানকার মরুদ্যানসমূহ ও পাহাড়-পর্বতের পাদদেশসমূহ মনোলোভা রং-বৈচিত্রের অধিকারী, তা সত্ত্বেও দেশের উত্তর ও পশ্চিম এলাকায় সুউচ্চ পর্বতমালার অবস্থানের কারণে কাম্পিয়ান সাগর, ভূ-মধ্যসাগর ও পারস্য উপসাগরের আর্দ্র হাওয়া পর্বতমালা ঘেরা ইরানের মধ্যবর্তী বিশাল এলাকায় কোনোই প্রভাব বিস্তার করে না। এর ফলে ইরানের বিভিন্ন এলাকার আবহাওয়া বিভিন্ন ও বিচিত্র ধরনের। এ কারণেই এসব পর্বতমালার বাইরের পাদদেশের আবহাওয়া আর্দ্র, আর ভিতরের পাদদেশ শুষ্ক। কাম্পিয়ান সাগরের দক্ষিণ তীরবর্তী ইরানী এলাকার আবহাওয়া সমভাবাপন্ন এবং এখানে বিশেষ করে কম্পিয়ানের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত গীলান প্রদেশে বৃষ্টির পরিমাণ দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় অনেক বেশি। এখানে বার্ষিক গড়পরতা তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। পশ্চিম ইরানের আবহাওয়া ভূমধ্যসাগরীয়। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আবহাওয়া আধা মরু ধরনের যার ওপরে গরমের প্রভাব রয়েছে। এ অঞ্চলের উপত্যাকাসমূহে গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরম পড়ে। কিন্তু একই সময় সেখানকার পার্বত্য এলাকার আবহাওয়া ভারসাম্যপূর্ণ। আর শীতকালে ঐসব উপত্যকার আবহাওয়া ভারসাম্যপূর্ণ এবং পার্বত্য এলাকায় তখন প্রচণ্ড শীত পড়ে।
দেশের দক্ষিণ এলাকার সর্বত্র আবহাওয়া আর্দ্র। তা সত্ত্বেও এখানে প্রচন্ড গরম। দেশের সর্বাধিক উষ্ণ এলাকা খুযেস্তান প্রদেশের তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত উঠে থাকে। এ এলাকার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে গ্রীষ্মকালে খুবই গরম আর শীত কাল সমভাবাপন্ন। এখানে বিভিন্ন মওসুমের তাপমাত্রার মধ্যে এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য অনেক। দেশের উত্তরে আলবোর্য পর্বতমালা ও পশ্চিমাঞ্চলে যগরোস পর্বতমালার অবস্থানের কারণে মধ্য ইরানের বিশাল অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক এবং এখানে বিরাট বিরাট মরুভূমি রয়েছে।
সবকিছু মিলিয়ে বলা যেতে পারে যে, ইরানে তিন ধরনের আবহাওয়া রয়েছে :
১. মরুময় ও আধা-মরুময় আবহাওয়া;
২. পার্বত্য এলাকার সমভাবাপন্ন আবহাওয়া;
৩. কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তী সমভাবাপন্ন আবহাওয়া।
সূত্র : ড. মোহাম্মাদ মাহ্দী তাওয়াসসোলী প্রণীত আজকের ইরান, জনাব নূর হোসেন মজিদী কর্তৃক অনূদিত।