ইরানের অন্যতম সম্ভাবনাময়ী পর্যটন কেন্দ্র নিকশাহর
পোস্ট হয়েছে: মে ১২, ২০২২

ইরানের সিস্তান-বালুচেস্তানের একটি কম পরিচিত শহর নিকশাহর। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার প্রাদেশিক পর্যটন প্রধান বলেছেন আলিরেজা জালালজাই এমন মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, শহরের অভ্যন্তরে পর্যটন অবকাঠামো এবং ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর উন্নয়ন এই ধরনের বিবর্তনের পূর্বশর্ত। ইরানি এই কর্মকর্তা আরও বলেন, উন্নয়ন অবকাঠামোর অপ্রতুলতা এবং পর্যটন আকর্ষণগুলোর যথাযথ ও সঠিক পরিচয় তুলে ধরার অভাবের কারণে সেখানে অনেক পর্যটন এবং হস্তশিল্পের সক্ষমতা অবহেলিত হয়েছে। জালালজাই বলেন, চবাহার বন্দরের নিকটবর্তী এবং ট্রানজিট রোডে অবস্থানের কারণে শহরটিতে পর্যটন অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি। এর ফলে প্রদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটক আগমনে ভারসাম্য আসবে।সিস্তান-বালুচেস্তানে বেশ কয়েকটি স্বতন্ত্র প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এবং প্রাকৃতিক আকর্ষণ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দুটি ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান শাহর-ই-সুখতেহ (বার্ন সিটি) এবং লুত মরুভূমি। যদিও লুত মরুভূমির কিছু অংশ কেরমান প্রদেশে পড়েছে।
এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার মতে, প্রাচীনকালে বালুচেস্তান অঞ্চলে সিন্ধু উপত্যকা এবং ব্যাবিলনীয় সভ্যতার একটি স্থলপথ গড়ে উঠেছিল। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সৈন্যবাহিনী ৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বালুচেস্তানের মধ্য দিয়ে যাত্রা করে হিন্দুকুশের পথে। সূত্র: তেহরান টাইমস