মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইরানি প্যারা-অলিম্পিক কমিটির পারফরম্যান্সের প্রশংসায় অ্যান্ড্র পার্সনস

পোস্ট হয়েছে: মার্চ ১০, ২০২৫ 

news-image

আন্তর্জাতিক প্যারা-অলিম্পিক কমিটি ইরানকে নারী ক্রীড়া উন্নয়নে ২০২৫ সালের বিশিষ্ট সদস্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটির সভাপতি অ্যান্ড্রু পার্সনস নারী ক্রীড়া উন্নয়নে ২০২৫ সালের বিশিষ্ট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় ইরানের জাতীয় প্যারা-অলিম্পিক কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক প্যারা-অলিম্পিক কমিটির (আইপিসি) ওয়েবসাইটের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ৮ই মার্চ ২০২৫ সালের পুরষ্কার বিজয়ীদের নির্বাচনের মূল্যায়নে পার্সনস বলেছেন, ইরানের জাতীয় প্যারা-অলিম্পিক কমিটি প্রমাণ করে দিয়েছে যে, উন্নয়নের পথ সীমানা এবং সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও প্যারা-অলিম্পিক আন্দোলনের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই। আর এটিই সমান সুযোগ এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যত অর্জনের মূল চাবিকাঠি।

পার্সনস জোর দিয়ে বলেন, পরিবর্তন শুরু হয় ব্যায়াম দিয়ে। আমরা বিশ্বাস করি যে, খেলাধুলার মধ্যে বাধা ভেঙে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে এবং এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরি করে সকল মানুষের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে পারে।

একজন ব্যক্তির আপাতদৃষ্টিতে যতই ক্ষমতা থাকুক না কেন, খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা তাদের প্রকৃত শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং ক্ষমতাকে সম্মান করি এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহণ, উজ্জ্বল হওয়ার এবং অনুপ্রাণিত করার অধিকারকে আমরা মূল্য দিই।

গত ১ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পুরষ্কার বিজয়ীদের উদযাপনের সময়, আন্তর্জাতিক প্যারা-অলিম্পিক কমিটি ইরানকে অন্যান্য আইপিসি-সদস্য জাতীয় প্যারা-অলিম্পিক কমিটির মধ্যে নারী ক্রীড়া উন্নয়নে ২০২৫ বিশিষ্ট সদস্য’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

এর আগে, প্যারা-অলিম্পিক এবং বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত তীরন্দাজ জাহরা নেমাতি ২০২১ সালে তরুণ প্রজন্মের নির্বাচিত ক্রীড়াবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিক প্যারা-অলিম্পিক কমিটির পুরস্কার পেয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে বার্সেলোনায় ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের পর প্রথমবারের মতো প্যারা-অলিম্পিক গেমসে ইরানি নারীদের অংশগ্রহণ ঘটে।

প্যারিস ২০২৪ প্যারা-অলিম্পিক গেমসে, পাঁচটি বিভাগে ইরানি নারী ক্রীড়াবিদের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এই ক্রীড়াবিদেরা সাতটি পদক জিতেছে। বর্তমানে, ইরানের জাতীয় প্যারা-অলিম্পিক কমিটির সহায়তায় ২০,০০০ এরও বেশি নারী ক্রীড়াবিদ বিভিন্ন ক্রীড়ায় সক্রিয় রয়েছেন।