ইমাম হোসাইন (আ.) ও হযরত যায়নাব (সা. আ.)-এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন
পোস্ট হয়েছে: এপ্রিল ৮, ২০১৯
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (আ.) ও হযরত যায়নাব (সা. আ.)-এর পবিত্র জন্মদিবস উপলক্ষে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও আঞ্জুমানে মুমিনীনে বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে গত ৬ এপ্রিল ২০১৯ ধানমন্ডিস্থ বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কালচারাল কাউন্সেলর ড. মাহদী হোসেইনী ফায়েক এবং হুজ্জাতুল ইসলাম আব্দুল কুদ্দুস বাদশা।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তেলাওয়াত করেন ক্বারী মো. আলতাফ হোসেন।
ড. মাহদী হোসেইনী ফায়েক বলেন, কোরআন মজীদের সূরা শুরার ২৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ মুসলমানদেরকে নবীপরিবারকে ভালোবাসার নির্দেশ দিয়েছেন। আর তাই মহানবী (সা.)-এর পরিবার তথা আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য।
হুজ্জাতুল ইসলাম জনাব আব্দুল কুদ্দুস বাদশা বলেন, ইমাম হোসাইন (আ.) চতুর্থ হিজরির ৩রা শাবান জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মের কারণে মহানবী (সা.) খুব আনন্দিত হন। তবে যেহেতু ওহীর ফেরেশতার মাধ্যমে মহানবী (সা.) জানতে পারেন যে, তাঁর এই দৌহিত্রকে তাঁর উম্মত হত্যা করবে সে কারণে তিনি ক্রন্দনও করেন। ফেরেশতাগণ পৃথিবীতে অবতরণ করে মহানবীকে মোবারকবাদ জানান এবং একই সাথে তাঁরা মহানবীকে সান্তনাও দেন।
তিনি বলেন, ইমাম হোসাইন (আ.)-কে কেন্দ্র করে শুধু কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনা সম্পর্কে জানাই যথেষ্ট নয়, বরং ইমাম হোসাইন (আ.) পুরো জীবন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেন ইমাম হোসাইন (আ.) মহানবী (সা.) কর্তৃক ‘মুক্তির তরণী’ হিসেবে অভিহিত হয়েছেন তা জানার জন্য ইমাম হোসাইনের সমগ্র জীবনী অধ্যয়ন করা সকলের জন্যই জরুরি।
অনুষ্ঠানে হাম্দ পরিবেশন করেন জনাব রোকনুজ্জামাল কাজল এবং আহলে বাইতের শানে মনোজ্ঞ কাওয়ালি পরিবেশন করেন জনাব মো. জাহাঙ্গীর ও তাঁর দল।