বৃহস্পতিবার, ২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইমাম হুসাইন (আ)’র শাহাদাতের চেহলাম-বার্ষিকী ইসলামি পুনর্জাগরণের মাধ্যম

পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ২১, ২০১৯ 

news-image
ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা উচ্চ পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, ইমাম হুসাইন (আ)’র শাহাদাতের চেহলাম-বার্ষিকী বা আরবাঈন পালনের পদযাত্রা মুক্তিকামিতা ও ফিলিস্তিনের মজলুম জনগণকে রক্ষার মূল-কেন্দ্রবিন্দু। তিনি একে ইহুদিবাদী ইসরাইলবিরোধী সমাবেশ বলেও মন্তব্য করেছেন।
 
শামখানি গতকাল (শুক্রবার) ইরাক-সীমান্ত সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানের চাজ’বে ক্রসিং পয়েন্টের কাছে ইমাম হুসাইনের চেহলাম-বার্ষিকী পালনকারীদের সেবার জন্য সক্রিয় অস্থায়ী সেবাসদনগুলো পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এক সমাবেশে এই মন্তব্য করেন।
 
ইরান ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েক মিলিয়ন জিয়ারতকারী ইরান ও ইরাকের বিশাল পদযাত্রায় নিরাপদ পরিবেশে অংশ নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
 
ইমাম হুসাইন (আ)’র শাহাদাতের চেহলাম-বার্ষিকী বা আরবাঈন অনুষ্ঠান অনেক আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় বিশ্বাস ও বৈশ্বিক নানা বার্তা তুলে ধরছে। বিশ্বাসীদের পরস্পরের জন্য ত্যাগ আর ভালবাসা ও নজিরবিহীন আতিথেয়তাসহ অসাধারণ অনেক গুণ আর মূল্যবোধের প্রত্যক্ষ প্রকাশ দেখা যায় এই আরবাইন অনুষ্ঠানে। জুলুম ও জালেমদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের দুর্বার চেতনাও তুলে ধরে আশুরার সৃষ্ট এই সাংস্কৃতিক মাধ্যম।
 
অনেক ইহুদি ও খ্রিস্টানও আরবাঈনের জনসমুদ্রে যোগ দিচ্ছেন স্বেচ্ছায়। আর এ থেকে বোঝা যায় ইমাম হুসাইনের ন্যায়বিচারকামিতা ও মুক্তিকামিতার আদর্শ কেবল মুসলমান কিংবা শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যেই সীমিত নয়। শামখানি তার বক্তব্যে এই ইঙ্গিত দিয়েই বলেছেন, ইমাম হুসাইন (আ)’র শাহাদাতের চেহলাম-বার্ষিকী বা আরবাঈন অনুষ্ঠানের প্রতি বিপুল সংখ্যক জনগণের নজিরবিহীন উৎসাহ থেকে বোঝা যায় এই মহতী অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অঙ্গীকার কেবল কারবালার পবিত্র মাজারের আশপাশেই সীমিত নয়।
 
আয়াতুল্লাহ মোহসেন গুরুইয়ান বলেছেন, ইমাম হুসাইনের প্রতি ভালবাসা যখন এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে জড়ো করছে বা টেনে আনছে তখন প্রয়োজন দেখা দিলে এই জনগণই আবারও ময়দানে এগিয়ে এসে বস্তুবাদী বা বৈষয়িক সব সমীকরণকে লণ্ডভণ্ড করতে সক্ষম হবে।
 
অন্য কথায় আরবাঈন হয়ে পড়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শক্তির তথা কোমল যুদ্ধের এক বিশাল বড় মাধ্যম। বিশেষ করে সামাজিক শক্তি ও আদর্শিক ঐক্যের মাধ্যম হিসেবে আরবাঈন মুসলমানদের পুনর্জাগরণের এক প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠেছে। তাই বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে আরবাইন কর্মসূচি পালন ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু-মহলকে ভাবিয়ে তুলছে।
 

সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ইমাম হুসাইন (আ)’র শাহাদাতের চেহলাম-বার্ষিকী বা আরবাঈন প্রথম থেকেই আশুরার শক্তিশালী মিডিয়া হিসেবে কাজ করছে। আরবাঈনের পদযাত্রায় আধ্যাত্মিকতা, চিন্তাশীলতা ও জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে হবে। আর এ জন্য জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাশীলদেরকে অবিরাম চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালাতে হবে। পার্সটুডে।