ইমাম মাহদীর আবির্ভাবে গোটা বিশ্ববাসী আনন্দিত হবে
পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭

বিভিন্ন রেওয়ায়েত থেকে বোঝা যায় যে, ইমাম মাহদীর(আ.)আবির্ভাবে বিশ্বে আনন্দের ঢল নামবে। কিছু রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে, ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবে আসমান এবং জমিনের সকলেই আনন্দে মেতে উঠবে।
তার রাষ্ট্র ব্যবস্থা এমন হবে যে তার মধ্যে কোন অন্যায়, অত্যাচার এবং জুলুম থাকবে না। কোন ফ্যাসাদও হবে না এবং কোন ভিক্ষুকও পাওয়া যাবে না!
কিছু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম মাহদীর(আ.) বিপ্লবকে সবাই স্বাগত জানাবে।মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন: আসমান ও জমিনের সকলেই, পশু-পাখি, এমনকি সমুদ্রের মাছও ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবে আনন্দিত হবে।
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) এ সম্পর্কে বলেছেন: মাহদীর আবির্ভাবের পর সকলেই শুধু তার কথা বলবে এবং সকলেই আন্তরিকভাবে মাহদীকে ভালবাসবে। আর এই ভালবাসা এতটাই প্রবল হবে যে, মানুষের মুখে তার কথা ছাড়া অন্য কারও কথা থাকবে না।
রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, “یشربون حبه؛ মানুষ তার ভালবাসাকে পান করবে। তারা ইমাম মাহদীকে এত বেশি ভালবাসবে যে, সুস্বাদু পানীয়র মত তারা ইমামের ভালবাসাকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করবে। অর্থাৎ ইমাম মাহদীর(আ.) প্রতি ভালবাসা তাদের অন্তরে গেঁথে থাকবে।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) এসম্পর্কে বলেছেন: আমি দেখতে পাচ্ছি যে ইমাম মাহদী(আ.) কুফার মসজিদে মিম্বারে রাসূল(সা.)-এর বর্ম পরে বসে আছেন।
কিছু রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে “تلک الفرجه অর্থাৎ মানুষের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।এই রেওয়ায়েত অনুসারে এমনকি বারযাখের মু’মিনরাও ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের সুফল পাবে।
সূত্র: ইমাম মাহদীর(আ.) হুকুমতের লক্ষণসমূহ শীর্ষক গ্রন্থ-লেখক, হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন নাজমুদ্দিন তাবাসী।