ইউরোপকে ছাড়িয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর পর্যটক বাড়ছে ইরানে
পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ২, ২০১৯
গত ইরানি বছরে (মার্চ ২০১৮ থেকে মার্চ ২০১৯) প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ইরানে বিদেশি পর্যটক আগমনের হার বেড়েছে। এসব বিদেশি পর্যটক মূলত আসতে দেখা গেছে ইরাক, ওমান, চীন, তুরস্ক ও আজারবাইজানের মতো আঞ্চলিক দেশগুলো থেকে। অর্থাৎ ইউরোপের চেয়ে এখন প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে বেশি বেশি পর্যটককে স্বাগত জানাচ্ছে ইরান।
সম্প্রতি ইরাক, ওমান ও চীনের মতো কিছু প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা পদ্ধতি তুলে নেয় ইরান। একই সময়ে ইরানি মুদ্রার দরপতন ঘটেছে এবং প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ইরানে সরাসরি ফ্লাইটের সংখ্যাও বেড়েছে। ইরানের অধিক হারে আঞ্চলিক দেশগুলোর পর্যটক আকৃষ্টের পেছনে এসব বিষয় মূল ভূমিকা রেখেছে বলে জানা যায়।
গত ইরানি বছরে প্রায় ৭৮ লাখ বিদেশি পর্যটক ইরান ভ্রমণ করেন। যা আগের বছরের তুলনায় ৫২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। ইরানের ট্রাভেল এজেন্টস গিল্ড অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হোরমাতোল্লাহ রাফিয়েই জানান, চলতি ইরানি বছরের প্রথম ছয় মাসে (২১ মার্চ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইরানে ওমানি পর্যটক বেড়েছে ৯৬ শতাংশ। দোনিয়া-ই-ইকতেসাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, ওমানি এয়ারলাইন্সগুলো এখন ইরানে সপ্তাহে ৮ থেকে ৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। এছাড়া ইরানি এয়ারলাইন্সগুলো ওমান থেকে সপ্তাহে ফ্লাইট পরিচালনা করে প্রায় ৪০টি। গত বছরে যেখানে মাত্র ২ থেকে ৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হতো।
রাফিয়েই জানান, বছরে প্রথম ছয় মাসে ইরাক থেকে ইরানে পর্যটক আগমনের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ থেকে ২০ লাখের মধ্যে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি। চলতি ইরানি বছরের শেষ নাগাদ (১৯ মার্চ ২০২০) এই সংখ্যা ৩৫ থেকে ৪০ লাখে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে একই সময়ে ইরানে তুর্কি পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।
ইসফাহান ট্যুরিস্ট গাইড অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান মরিয়ম হোদাইয়ান জানান, ইরানে ইতালি ও স্পেনের পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। তবে ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে পর্যটক আগমনের সংখ্যা কমেছে।
ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, হস্তশিল্প ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ভালি তেইমুরি জানান, চলতি ইরানি বছরের প্রথম ছয় মাসে মোট ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার ২১৫ জন বিদেশি পর্যটক ইরান ভ্রমণ করেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। এই সময়ে ইরানগামী পর্যটকদের মূল উৎস ছিল ইরাক, আজারবাইজান, আফগানিস্তান, তুরস্ক ও পাকিস্তান। সূত্র: ফিনানসিয়াল ট্রিবিউন।