ইউনেস্কোর বিশ্ব জিওপার্ক ঐতিহ্যের তালিকায় ইরানের কেশম দ্বীপ
পোস্ট হয়েছে: মে ৮, ২০১৭
![news-image](https://www.iranmirrorbd.com/wp-content/uploads/2017/05/2451332-1.jpg)
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব জিওপার্ক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হরমুযগান প্রদেশের কেশম দ্বীপ। চার বছর মেয়াদের জন্য দ্বীপটিকে ইউনোস্ক গ্লোবাল জিওপার্ক তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এ সময়কাল ৫ মে ২০১৭ থেকে শুরু হয়ে ৪ মে ২০২১ সালে শেষ হবে। দ্বীপটির প্রথম পুন:অনুমোদনের প্রক্রিয়া ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার ইউনেস্কোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ইউনেস্কো গ্লোবাল জিওপার্ক কাউন্সিল গত সেপ্টেম্বরে কেশম দ্বীপকে তালিকাভুক্তির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়। পরে গত ৫ মে প্যারিসে জাতিসংঘের এ সংস্থাটির ২০১তম অধিবেশন চলাকালীন নির্বাহী পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
এবারের অধিবেশনে অন্যান্য আরও সাতটি স্থান একইভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এরমধ্যে ভূতত্ত্বের মহান বৈচিত্র্য প্রদর্শনের জন্য চীনের অরক্সান, ফ্রান্সের কাসস দ্য কের্সি, ও স্পেইনের লাস্ট লোরাস ইউনেস্কোর ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পেয়েছে।
উল্লেখ্য, নীলাভ সাগরের কোলে জেগে ওঠা কেশম দ্বীপ কেবল হরমুযগান প্রদেশেরই নয় বরং সমগ্র পারস্য উপসাগরীয় দ্বীপগুলোর অন্যতম বিশাল দ্বীপ। হরমুয প্রণালীর উৎসমুখে এই দ্বীপটির অবস্থান। এই দ্বীপের আয়তন দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি। এটি দৈর্ঘ্যে ১২০ কিলোমিটার আর প্রস্থে ১০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার। দ্বীপের সবচেয়ে উঁচু জায়গাটির উচ্চতা সাড়ে তিন শ’ মিটার। দ্বীপের আবহাওয়া সবসময়ই আর্দ্র থাকে। বছরের কোনো কোনো সময় বা মাসে আর্দ্রতার মাত্রা শতকরা ৯৫ ভাগে অর্থাৎ সবোর্চ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে।
বিচিত্র উদ্ভিদ আর গাছ গাছালিতে পূর্ণ কেশম দ্বীপ। হারা নামে একটি বন আছে এই দ্বীপে, ওই বনে বিরল প্রজাতির বহু উদ্ভিদ রয়েছে। রয়েছে আবিসিনিয়া ম্যারিনা নামে একটি উদ্ভিদও। হারা বনাঞ্চলটি কেশম দ্বীপের উত্তর পশ্চিমে পড়েছে। প্রায় পনর হাজার হেক্টর জায়গা জুড়ে এই বনাঞ্চলটি অনন্যসাধারণ একটি পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তাকিয়ে থাকতেই শুধু মন চায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই চমৎকার বনাঞ্চলটি এখন আন্তর্জাতিকভাবে সংরক্ষিত একটি এলাকা। স্থানীয় পাখপাখালি ছাড়াও বিচিত্র অতিথি পাখির সমাগমে মুখরিত থাকে এই এলাকাটি। কারণ, সংরক্ষিত এলাকা হবার ফলে এখানে কেউ শিকার করতে পারে না। পাখিরাও তাই এই বনে একেবারেই নিশ্চিন্তে এবং নিরাপদে জীবন যাপন করে।
সূত্র: তেহরান টাইমস।